তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতিশ কুমার। এভাবেই জেডিইউ নেতা তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে ব্যঙ্গ করলেন তাঁরই একসময়কার জোটসঙ্গী আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। গত বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের প্রাপ্ত আসন সংখ্যাকে কটাক্ষ করে এই মন্তব্য করেছেন লালুপ্রসাদ।
বিধানসভা নির্বাচনে ২৪৩টি আসনের মধ্যে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ মাত্র ৪৩ আসনে জয়লাভ করেছিল। লালুপ্রসাদের আরজেডি ৭৫ এবং বিজেপি ৭৪ আসনে জিতেছিল। অর্থাৎ দল হিসেবে তৃতীয় স্থান দখল করেছিল জেডিইউ।
এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে ট্যুইটারে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "জনতার আদেশ ও নৈতিকতাকে পিছনে ঠেলে কোনোরকমে ৪০ পেয়ে থার্ড ডিভিশনে পাশ করা কোনো ব্যক্তি যখন হাতে-পায়ে ধরে, কেঁদে-কেটে, অর্থ-ক্ষমতা-প্রশাসনিক ছলকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন রাজ্যে এরকম অবস্থা হওয়া স্বাভাবিক।"
এই ট্যুইটের সাথে একটি হিন্দি দৈনিকের ছবি পোস্ট করেছেন লালুপ্রসাদ। যেখানে রাজ্যের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মদন সাহানীর পদত্যাগের ইচ্ছা সংক্রান্ত খবর রয়েছে। নীতিশ কুমার সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী মদন সাহানী। রাজ্যে আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মদন সাহানী কর্তৃক এনডিএ সরকারের সমালোচনার একটি ভিডিও নিজের ট্যুইটারে শেয়ার করে আরজেডি নেতা লেখেন, "এভাবেই আমলাতন্ত্র এবং অর্থশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কোনোরকমে থার্ড ডিভিশনে পাশ করেছেন তিনি (নীতিশ কুমার)। এই সরকার ভালো কী খারাপ, সেই প্রশ্নই আসে না। আমার মতে বিহারছ কোনো সরকারই নেই।"
প্রসঙ্গত, সাহানী তাঁর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অতুল প্রসাদের ওপর গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। সব ক্ষেত্রেই তাঁর পরামর্শকে উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরজেডি-র দাবি, নীতিশ কুমার সরকারের বহু মন্ত্রীই এই অবস্থায় রয়েছেন। আমলারা তাঁদের কথা না শুনে ইচ্ছেমতো বিভাগ চালাচ্ছেন। এনডিএ সরকারের নৌকা এখন নড়বড় করছে, যেকোনো সময় ডুবে যেতে পারে।
- with IANS input
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন