বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতিশ কুমার। এর আগেই তিনি বিজপির সঙ্গে জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবার পর তিনি চলে যান তেজস্বী যাদবের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখা করেন রাবড়ি দেবি এবং তেজস্বী যাদবের সঙ্গে। ইস্তফার পরেই মহাজোটের নেতা নির্বাচিত হন নীতিশ কুমার।
ইস্তফার পর এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতিশ কুমার জানিয়েছেন, আজ দলের বৈঠকে দলের সব সদস্য জানিয়েছেন এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করা উচিৎ। বৈঠকের পরেই আমরা এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।
নীতিশ কুমারের ইস্তফা ঘিরে বিহার জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তৎপরতা। লোকজনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাশোয়ান বলেন, যেভাবে জনগণের রায়কে অবজ্ঞা করে নীতিশ কুমার শিবির বদলে মহাজোটে যোগ দিলেন আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে মাননীয় রাজ্যপালের কাছে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নতুন নির্বাচন করার দাবি জানাচ্ছি।
বিহারে নীতিশ কুমারের ইস্তফা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে বিজেপি নেতৃত্ব যেমন এই ঘটনায় সরাসরি নীতিশকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অন্যদিকে বিরোধী নেতৃত্ব এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
অখিলেশ যাদব – আজকের দিনে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয়েছিল। আর আজকের দিনেই শুরু হল বিজেপি ভারত ছাড়ো। আমার আশা এই জোট আগামীদিনে পথ দেখাবে।
অন্যদিকে নীতিশ কুমারের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছেন হ্যাম প্রধান জিতন রাম মাঝি। বামেদের পক্ষ থেকে বাইরে থেকে এই সরকারকে সমর্থনের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মত রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন