বিহারে বিষ মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬। রাজ্যে মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে এখনও পর্যন্ত যতগুলি বিষমদ কাণ্ড ঘটেছে, সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে এতে। এরই মাঝে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজয় কুমার সিনহার ঘনিষ্ঠের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন বিষয়টি উত্থাপিত করেন কংগ্রেস বিধায়ক শাকিল আহমেদ খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি জানান, "আমি একটি মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছি। যেখানে বলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজয় কুমার সিনহার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়ির উঠোন থেকে ১০৮ কার্টুন মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই কারণেই আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানের নজরে আনতে চেয়েছি।"
এদিন বিধানসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না বিজয় সিনহা। সরান হুচ ট্র্যাজেডির প্রতিবাদে অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের সাথে তিনিও অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছেন। শুক্রবার ট্রেজারি বেঞ্চকে স্পিকার জানান, সিনহার ঘনিষ্ঠের বাড়ির সামনে থেকে মদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করা উচিত।
এই প্রসঙ্গে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব সাংবাদিকদের বলেন, "সিনহার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়ির উঠোন থেকে বিশাল পরিমাণ মদ বাজেয়াপ্ত করার কথা জানতে পেরে আমি হতবাক। আমি এখনই কোনো অভিযোগ করতে চাই না। তবে এই রিপোর্ট যদি সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে সিনহাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।"
আরজেডি নেতার কথায়, "একাধিক বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করে বিহারকে ক্রমশ নরকে পরিণত করছে বিজেপি। এটা সকলের জানা উচিত, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা থেকে বিহারে মদ পাচার হচ্ছে।"
সূত্রের খবর, লক্ষ্মীসরাইয়ের নির্জন এলাকায় একটি বাড়িটিতে একাই থাকতেন বিজেপি নেতার নিকটাত্মীয়। বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।
মদ বাজেয়াপ্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিহারের আবগারি দপ্তর।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাঁদের দাবি, এই সম্পর্কে তাঁরা অবগত নন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে বিহারে মদের উত্পাদন, ব্যবসা, সঞ্চয়, পরিবহন, বিক্রয় এবং সেবন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন