বিহারে কোনও জাতিভিত্তিক জনগণনা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি ও জেডিইউ-র জোট সরকার। এরপরই বিরোধী আরজেডি নতুন করে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছে সাধারণকে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বিধানসভায় জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি ও জেডিইউ। কিন্তু, তারপরে এই বিষয়টি নিয়ে আর কোনও উচ্চবাচ্য করতে শোনা যায়নি তাদের। অবশেষে জাতিভিত্তিক গণনার দাবিতে সোচ্চার হল আরজেডি।
২ দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় বলেন, তপসিলি জাতি-উপজাতির জনগণনা ছাড়া আর কোনও জাতিভিত্তিক জনগণনার আয়োজন করবে না কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, তাঁর দল দীর্ঘদিন ধরে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি জানিয়ে আসছে। আগামীদিনেও এই দাবি তিনি জানিয়ে যাবেন।
একাধিক টুইট করে তেজস্বী জানান, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের লড়াইকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে দল। তিনি বলেন,'আমরা জাতিভিত্তিক জনগণনা চাই। আর তা না হলে লালুজীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না দল। মূলত, সমাজের পিছিয়ে পড়া, প্রান্তিক ও গরিব মানুষদের স্বার্থেই এই দাবি জানানো হচ্ছে।
ওবিসি, ইবিসি ও দলিতদের মধ্যে দলের গতিবিধি আরও মজবুত করতেই এমন পদক্ষেপ করেছেন তেজস্বী বলে মত রাজনৈতিক মহলের। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও জোট শরিক বিজেপির দ্বিচারিতাকে জনসমক্ষে তুলে ধরতেই এই বিষয়টি উত্থাপন করতেই এমন দাবি করছেন তেজস্বী বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তেজস্বীর মতে, জাতিভিত্তিক জনগণনার মাধ্যমে যে তথ্য উঠে আসবে তা জানার অধিকার রয়েছে মানুষের। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের শক্তি ও দুর্বলতার কথাও জানা যাবে এর মাধ্যমে। পিছিয়ে পড়া, প্রান্তিক মানুষদের সুবিধা-অসুবিধা জেনে আর্থ-সামাজিক দিক থেকে বিভিন্ন স্কিম এনে এইসব মানুষদের সাহায্য করাও অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে এর মাধ্যমে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন