কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাণ গিয়েছে বিহারের ১৫ জন আশাকর্মীর। কম বেতন, কোনওরকম সুরক্ষা ছাড়াই দিনের পর দিন এইসব আশা কর্মীরা মানুষের সেবা করে গিয়েছেন। কিন্তু, অসুস্থ হলে তাদেরই চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়ায়নি প্রশাসন। বিনা চিকিৎসায় প্রাণ দিতে হয় এইসব আশা কর্মীদের।
গত ১৪ এপ্রিল বিহারের বাঁকড়া জেলায় মাথা ব্যথা ও পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় এক আশা কর্মী পুনম মারান্ডি। আত্মীয়রা তাকে স্থানীয় কাটোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্মীদের কোভিড টেস্ট করতেও বলা হয়। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে, ততক্ষণ কোনওরকম টেস্ট করতে রাজি হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর কিছু ঘণ্টা পরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের পুনমকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তখনও হাসপাতালে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছিল বলে অভিযোগ।
পুনমের মৃত্যুর তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তাঁর অনাথ সন্তানরা সরকারের তরফে কোনও সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ। ৬ সদস্যের পরিবারে পুনমই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। পুনমের স্বামী বহু আগেই মারা গিয়েছিলেন। ৫ সন্তানের মধ্যে ৪ মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে। যার মধ্যে একটি মেয়েরই বিয়ে হয়েছে। কর্মক্ষেত্রেই প্রাণ গিয়েছে পুনমের। পুনমের মতো মোট ১৫ জন আশাকর্মীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে আশা কর্মী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
এইসব পরিবারগুলো তরফেও অভিযোগ করা হয়েছে, প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও কোনওরকম সাহায্য এখনও তারা সরকারের তরফে পায়নি। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতবছরই, প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা ইনস্যুরেন্সের কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু সেই সুবিধা থেকে পুরোপুরিভাবে বঞ্চিত বিহারের এইসব আশা কর্মীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন