বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমারের তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা মোট অর্থের পরিমাণ ৪৮ হাজার টাকা। তাঁর হাতে আছে নগদ ২২,৫৫২ টাকা। ২০২৩-এর শেষ দিনে নীতিশ কুমার সরকার রাজ্য মন্ত্রীসভার পূর্ণমন্ত্রীদের সম্পদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকা অনুসারেই এই তথ্য জানা গেছে।
এই পরিমাণ অর্থ ছাড়াও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৬.৮৪ লক্ষ টাকা। দিল্লীর দ্বারকাতে তাঁর একটি ফ্ল্যাট আছে। ২০০৪ সালে এই ফ্ল্যাট তিনি কিনেছিলেন ১৩.৭৮ লক্ষ টাকায় এবং বর্তমানে ওই ফ্ল্যাটের দাম ১.৪৮ কোটি টাকা। এছাড়াও তাঁর কাছে ১০টি গোরু সহ মোট ২৩টি পশু আছে।
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সম্পদের পরিমাণ অবশ্য নীতিশ কুমারের চেয়ে অনেকটাই বেশি। তাঁর কাছে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে এবং তাঁর স্ত্রী রাজশ্রী কাছে আছে ১ লক্ষ টাকা। তেজস্বী যাদবের ব্যাঙ্কে আছে ৫৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ৫.৮৩ লক্ষ টাকার শেয়ার এবং ২০০ গ্রাম সোনার গহনা আছে। তাঁর স্ত্রীর কাছে ৪৮০ গ্রাম সোনা এবং কন্যার ২০০ গ্রাম সোনার অলঙ্কার আছে।
পাটনার ফুলওয়ারি শরীফে আরজেডি নেতার দু’বিঘা জমি আছে। গোপালগঞ্জে আছে ২ বিঘা অকৃষিযোগ্য জমি। দানাপুরে আছে ৮ কাঠা অকৃষি জমি। এছাড়াও ধনৌট এবং গর্দানিবাগেও কিছু জমি আছে যার মূল্য ৩৬ লক্ষ টাকা।
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁর ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবের যৌথ সম্পত্তির পরিমাণ ৩৯ লক্ষ টাকা। তেজপ্রতাপের এককভাবে নগদ অর্থ আছে ৯৮ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ১৭ লক্ষ টাকা জমা আছে। এছাড়াও তেজপ্রতাপের ২৯.৪৩ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি বিএমডব্লু, ২২ লাখ টাকা দামের অন্য একটি গাড়ি এবং ১৫.৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি বাইক আছে। আছে ১.৭৮ লক্ষ টাকা দামের একটি ফ্ল্যাট, ৮৮ লক্ষ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি এবং ৪২ লাখ টাকা মূল্যের চাষযোগ্য জমি।
বিহারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী সুমিত সিং-এর সম্পদের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাঁর কাছে ২.৫২ লক্ষ টাকা নগদ আছে এবং তাঁর স্ত্রীর কাছে ৩.১১ লক্ষ টাকা নগদ আছে। এছাড়াও তাঁর স্ত্রীর অলঙ্কার আছে ৫০ লক্ষ টাকার এবং স্থায়ী আমানত আছে ৭৩ লক্ষ টাকার। ব্যক্তিগতভাবে সুমিত সিং-এর নামে ১.১১ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত, একটি কোয়ালিস এসইউভি, একটি পিস্তল এবং একটি রাইফেল আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন