বিলকিস বানোকে যারা ধর্ষণ করেছিলেন তারা সকলেই ব্রাহ্মণ এবং তাদের ভালো সংস্কার রয়েছে। ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন আসামীর মুক্তি ঘিরে গোটা দেশ যখন উত্তাল, তখনই আসামীদের পাশে দাঁড়িয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক সি কে রাউলজী। বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্য আমজনতার ক্ষোভের আগুন ঘি ঢালল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন বিলকিস বানোকে ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন আসামীকে রিমিশন নীতির অধীনে মুক্তি দিয়েছে বিজেপি শাসিত গুজরাট সরকার। ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করার জন্য গুজরাট সরকার যে প্যানেল গঠন করেছিল, তাতে ছিলেন গোধারার বিজেপি বিধায়ক সি কে রাউলজী। রাউলজী সহ প্যানেলের সকল সদস্যই ধর্ষকদের মুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। এই প্যানেলে রাউলজী ছাড়াও অপর এক মহিলা বিজেপি বিধায়ক ছিলেন - শ্রীমতী সুমন চৌহান। প্যানেলের অনুমতিতেই ধর্ষকরা মুক্তি পেয়েছে এবং জেল থেকে বেরোনোর পর তাদের মালা পরিয়ে, মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
এবার প্রকাশ্যেই ধর্ষকদের পাশে দাঁড়ালেন সি কে রাউলজী। নিউজ পোর্টাল Mojo Story-র সাংবাদিককে গোধরার বিধায়ক বলেন, "আমি জানিনা তারা (মুক্তিপ্রাপ্ত আসামীরা) কোনও অপরাধ করেছে কিনা। কিন্তু কেউ কোনও অপরাধ করলে তার কোনও উদ্দেশ্য তো অবশ্যই থাকবে। তারা ব্রাহ্মণ, ভালো সংস্কারের জন্য তারা পরিচিত। তাদের কোণঠাসা করে শাস্তি দেওয়ার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য থাকতে পারে কারও। জেলে থাকাকালীন তারা সকলের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করেছে।"
ধর্ষকদের সমর্থনে বিধায়কের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি আমজনতাও এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। TRS-এর তরফ থেকে টুইটারে লেখা হয়েছে, "বিজেপি এখন ধর্ষকদের ভালো সংস্কার যুক্ত মানুষ বলছে। একটি দল কখনও এতো নীচ হতে পারে!"
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার এই ধর্ষকদের মালা পরিয়ে সম্বর্ধনা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। জানা গেছে, ১১ জন ধর্ষকদের মধ্যে ৪ জন বিজেপির সক্রিয় সদস্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন