সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে বাধ্য হলো বিলকিস বানোর ১১ জন ধর্ষক। রবিবার রাতে গোধরা সাব-জেলে গিয়ে সকলেই আত্মসমর্পণ করলো। শীর্ষ আদালতের বেঁধে দেওয়া ডেডলাইনের শেষ দিনেই ধরা দিল তারা।
গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দোষীদের দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ গোধরা জেলে ১১ জন দোষী আত্মসমর্পণ করে। দুটি গাড়িতে করে আসে তারা। শীর্ষ আদালতে তাদের আবেদন খারিজ হওয়ার পরই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুলিশের কাছে ধরা দিতে বাধ্য হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট খুন ও গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী ১১ জনকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। পরে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্ত ভুল। সকল দোষীকে আত্মসমর্পণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের আত্মসমর্পণের দিন বৃদ্ধির আবেদন জানায় দোষীরা। দু'সপ্তাহর বদলে তারা চার সপ্তাহর জন্য আর্জি জানায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগারথনার বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, দিন বাড়ানোর উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেনি। কেউ দেখিয়েছে ছেলের বিয়ে, কেউ ফসল কাটার মরশুমে বাবা-মাকে সাহায্য করার কারণ দেখিয়েছে। কেউ আবার অসুস্থতার কারণে বিশ্রামের জন্য দিনবৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু আদালত সবক'টি আর্জিই খারিজ করছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩ মার্চ আহমেদাবাদের কাছে রন্ধিকপুর গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ এবং তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। গোধরায় সবরমতি ট্রেনে সহিংসতার ঘটনা থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। তাঁর সন্তান সহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন