বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে ১১ জন দোষীকে জেলে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের পরই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে রাহুল গান্ধী লেখেন, “শুধুমাত্র নির্বাচনী লাভের জন্য বিচার প্রক্রিয়াকে হত্যা করা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য বিপদজনক। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায় ফের প্রমাণ করে দিল অপরাধীদের আসল পৃষ্ঠপোষক কারা। বিলকিস বানোর অক্লান্ত লড়াই অহংকারী বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের প্রতীক"।
মেয়াদ শেষের আগেই বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে ১১ জন দোষীকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। বিজেপি শাসিত সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে আজ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২ সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সোমবার বিচারপতি বি.ভি নাগারথনা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে আবেদনকারীর (বিলকিস বানো) দায়ের করা পিটিশন অবশ্যই রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য।
বিচারপতিরা বলেন, “আমরা মনে করি দোষীদের মুক্তি দেওয়া হবে কিনা সেই সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ করা এবং দোষীদের সাজা মকুব করার কোনও ক্ষমতাই নেই গুজরাট সরকারের। এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছে গুজরাট সরকার। কারণ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩২(৭) ধারা অনুযায়ী এই কাজের জন্য গুজরাট সরকার উপযুক্ত নয়। এই মামলার শুনানি মহারাষ্ট্রে হয়েছিল। অপরাধীদের মুক্তির ক্ষমতা একমাত্র মহারাষ্ট্র সরকারের আছে।”
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩ মার্চ আহমেদাবাদের কাছে রন্ধিকপুর গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ এবং তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। গোধরায় সবরমতি ট্রেনে সহিংসতার ঘটনা থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। তাঁর সন্তান সহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন