এক সপ্তাহ আগেও বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় আদানি ছিলেন 'থার্ড বয়'। কিন্তু সেই রেকর্ড এখন অতীত। একসপ্তাহের ব্যবধানে সব 'ওলটপালট' হয়ে গিয়েছে। একধাক্কায়, শীর্ষ ১০ জনের তালিকার বাইরে চলে গিয়েছেন মোদী ঘনিষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি।
মঙ্গলবার, ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বিশ্বের ৫০০ জন ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় গৌতম আদানি রয়েছেন ১১ নম্বর স্থানে। গত কয়েক দিনে, শেয়ার বাজারে তাঁর সংস্থার বিপুল লোকসানের জেরে ১১ নম্বরে নেমে এসেছেন আদানি।
গত বুধবার, আদানিদের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ আনে মার্কিন লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা 'হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ'। একটি রিপোর্টে তারা দাবি করে, কৃত্রিম ভাবে শেয়ার বাজারে নিজেদের দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। কারচুপির মাধ্যমে ধনী হয়েছেন গৌতম আদানি।
এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই শেয়ার বাজারে ধস নামে। বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আদানি গোষ্ঠী। শুধু সোমবারেই ১ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার খুইয়েছেন আদানি। সব মিলিয়ে (শেষ তিনটি ট্রেডিং সেশনে) তিনি হারিয়েছেন ৩৫.৬ বিলিয়ন ডলার বা ২ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকার মূলধন।
তবে, কিছুটা হলেও হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের ছোঁয়া লেগেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর উপরেও। গত এক সপ্তাহে মুকেশ আম্বানি হারিয়েছেন ২.৫ বিলিয়ন বা ২০ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার মূলধন।
ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে - এই মুহূর্তে বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ফরাসি শিল্পপতি বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন টুইটারের মালিক এলন মাস্ক। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ লক্ষ কোটি টাকা। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে জেফ বেজোস এবং বিল গেট্স। তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ১০ লক্ষ কোটি টাকা এবং ৯ লক্ষ কোটি টাকা।
৮ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ওয়ারেন বাফে। ষষ্ঠ এবং সপ্তম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ল্যারি এলিসন এবং ল্যারি পেজ। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ যথাক্রমে ৮ লক্ষ ১২ হাজার কোটি এবং ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় অষ্টম, নবম এবং দশম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে স্টিভ বালমের (৭ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা), সারগে ব্রিন (৭ লক্ষ ৫ হাজার কোটি) এবং কার্লস স্লিম (৬ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন