মধ্যরাতে হ্যাক হলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট। বিটকয়েন সংক্রান্ত একটি স্ক্যাম লিঙ্ক শেয়ার করে সরকার বিটকয়েনকে স্বীকৃতি দেবে বলেও পোস্ট করা হয় অ্যাকাউন্ট থেকে। মুহূর্তে চর্চা শুরু হয় এই ট্যুইট নিয়ে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকের বিষয়টি জানানো হয়।
পিএমও-র ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য আপোষ করতে হয়েছে। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অ্যাকাউন্টটির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো ট্যুইট করা হলে তা অবশ্যই এড়িয়ে যাবেন।"
রাত ২.১৪ নাগাদ বিটকয়েন সংক্রান্ত ট্যুইটটি করা হয় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে। লেখা হয়, "ভারত সরকারিভাবে বিটকয়েনকে বৈধতা দিচ্ছে। সরকার ৫০০ বিটকয়েন কিনেছে এবং সেগুলো দেশবাসীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।" এর সাথে এই সংক্রান্ত একটি লিঙ্ক শেয়ার করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ট্যুইট বা তার স্ক্রিনশট। শুরু হয় চর্চা।
কিছুক্ষণ পর ফের একটি ট্যুইট করা হয়, যেখানে লেখা হয়, "হ্যাঁ, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। জন উইক হ্যাক করেছেন। আমরা পেটিএম মল হ্যাক করিনি।"
তৎক্ষণাৎ বিষয়টি নজরে আসে সাইবার বিশেষজ্ঞদের। এর একঘন্টারও বেশি সময় পরে পিএমও-র হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করে হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
৭৩.৪ মিলিয়ন ফলোয়ার থাকা প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে ওইসময় যতগুলো ট্যুইট করা হয়েছে, অ্যাকাউন্ট উদ্ধারের পর সেগুলো সব ডিলিট করা হয়েছে। যদিও ট্যুইটের স্ক্রিনশট ইতিমধ্যেই ভাইরাল, যা নিয়ে কটাক্ষও শুরু হয়েছে। যুব কংগ্রেসের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাস বিভি ট্যুইটারে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লিখেছেন, "সুপ্রভাত মোদী জি, সব ঠিক আছে?"। ভারতের ট্যুইটারে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন্ডিংয়ে ছিল #Hacked।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন