রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র মাঝেই বড়সড় সাফল্যের মুখ দেখল কংগ্রেস। বিজেপির আইডোলজিক্যাল সংগঠন আরএসএস (RSS)-র গড় নাগপুর। আর সেখানেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কার্যত ধুলিসাৎ হয়ে গেল বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও উপসভাপতি নির্বাচনে জয়ী হলো কংগ্রেস।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা ছিল ১৩টি। যার মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ৯টি। ৩টি আসন পেয়েছে শরদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং মাত্র একটি আসন পেয়েছে শিবসেনা। একই সাথে উপসভাপতি নির্বাচনেও ১৩টি আসনের মধ্যে ৮টি জিতে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস।
সভাপতি নির্বাচনে যে সকল আসনগুলি থেকে কংগ্রেস জয়লাভ করেছে সেগুলি হল - সাওনের, কলমেশ্বর, পারসিউনি, মউদা, কাম্পতি, উমরেদ, বিভাপুর, কুহি ও নাগপুর গ্রামীণ। শরদ পাওয়ারের এনসিপি জিতেছে কাতোল, নারখেদ, হিঙ্গনাতে। কেবলমাত্র রামটেক এসেছে শিবসেনার দখলে। তবে উদ্ধব ঠাকরের নয়, তা এসেছে একনাথ শিন্ধের ‘বালাসাহেবাঞ্চি শিবসেনা’র দখলে।
ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যে নাগপুরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের এই সাফল্যে যথেষ্ট আনন্দিত দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। এই প্রসঙ্গে আরএসএস এবং বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের গ্রামীণ ইউনিটের প্রধান রাজেন্দ্র মূলক জানান, পঞ্চায়েত সমিতির এই ফল বিজেপির ক্যাডারদের মনোবল পুরো ভেঙে দিয়েছে। জয়-পরাজয় হয়েই থাকে। কিন্তু, যেভাবে তাঁরা হেরেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গোটা জেলা ওদের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে।
আরএসএস-র ঘরের মাঠে গেরুয়া শিবিরের এই পরাজয় যেন নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দলের অন্দরে সৃষ্টি হয়েছে চাপা অসন্তোষ। এরই মাঝে সোমবার পঞ্চায়েত প্রধান আর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে। সেখানে বিজেপি নিজেদের মুখ রক্ষা করতে পারবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন