চলতি বছরের শেষের দিকে আরও চার রাজ্যের সঙ্গে রাজস্থানেও বাজবে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা। কিন্তু তার ঠিক আগে রাজ্যের দু'বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে নির্বাচনী কমিটি থেকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কিছুদিন ধরেই দলের অন্দরমহলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর হাওয়ায় ভাসছে। বসুন্ধরা রাজে ও তার বিরোধী গোষ্ঠীর চাপা অন্তর্দ্বন্দ্ব এবার দলের নির্বাচনী কমিটি তৈরির পর আরও স্পষ্ট রূপ নিল। তবে দলীয় সূত্রে খবর, নির্বাচনী কমিটিতে না থাকলেও প্রচারের সময় একেবারে প্রথম সারিতেই থাকবেন বসুন্ধরা।
সম্প্রতি মরুরাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরিচালনা ও নির্বাচনী ইস্তেহার তৈরির জন্য দুটি আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই দুই কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেন।
তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২১ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে, যার দায়িত্বে রয়েছেন দলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ নারায়ণ পঞ্চারিয়া। আবার ২৫ সদস্যের প্রদেশ সংকল্পপত্র (নির্বাচনী ইস্তেহার) কমিটির প্রধান করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়ালকে।
এই নিয়ে এদিন জয়পুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রপ্রকাশ যোশী এবং দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অরুণ সিংহ। সেই সম্মেলনে সাংবাদিকরা দলের নির্বাচনী কমিটিতে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের নাম না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে অরুণ জানান, “বসুন্ধরা রাজে আমাদের দলের একদম সামনের সারির নেত্রী। এর আগেও তিনি দলের একাধিক কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভবিষ্যতেও তিনি আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। নির্বাচনী প্রচারেই তাকে একেবারে সামনের সারিতে থাকবেন।”
পাশাপাশি বিজেপি সূত্রে খবর, চলতি মাসেই নির্বাচনের প্রচারের জন্য আরও একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হতে পারে এবং সেই কমিটিতে থাকতে পারেন বসুন্ধরাও। তবে এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মরুরাজ্যের দু'বারের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা কোনোরকম মন্তব্য করেননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন