হাইকোর্টে জোরালো ধাক্কা খেল হরিয়ানার বিজেপি সরকার। আম্বালার কাছে শম্ভু সীমান্ত থেকে ব্যরিকেড সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। বুধবার আদালত নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে ব্যারিকেড সরিয়ে দিতে হবে।
সঠিক এমএসপি-র দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে 'দিল্লি চলো'র ডাক দিয়েছিল বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু শম্ভু সীমান্তে কৃষকদের আটকে দেয় হরিয়ানা প্রশাসন। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখে সীমান্ত। এখনও রয়েছে সেই ব্যারিকেড। যার ফলে প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে জাতীয় সড়ক ৪৪।
আম্বালার বাসিন্দা এবং আইনজীবী ভাসু শান্ডিল্যা শম্ভু সীমান্ত পুনরায় চালু করার দাবিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জিএস সান্ধাওয়ালিয়া এবং বিকাশ বাহলের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি।
শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ হরিয়ানা সরকারকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। আদালত জানিয়েছে, বর্তমানে শম্ভু সীমান্তের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ। যেহেতু কৃষকদের দাবি কেন্দ্র সরকারের কাছে, সেজন্য তাঁদের দিল্লি যাত্রার অনুমতি দেওয়া উচিত।
এর পাল্টা হরিয়ানা সরকারের যুক্তি, ব্যারিকেড সরিয়ে নিলে কৃষকরা আম্বালায় এসে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করবে। এর উত্তরে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতীয় গণতন্ত্রে কৃষকদের একটি এলাকায় প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা বা বিক্ষোভ করতে বাধা দেওয়া যায় না।
এবিষয়ে হরিয়ানার অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট-জেনারেল দীপক সবরওয়াল বলেছেন, আদালত হরিয়ানা সরকারকে সাত দিনের মধ্যে ব্যারিকেড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেছেন, “আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে আনুমানিক ৪০০-৫০০ জন কৃষক ওই সীমান্তে রয়েছেন।“
জানা গেছে, এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাতে কৃষকদের সংগঠনগুলি আগামী ১৬ জুলাই একটি আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “আমরা আগে স্পষ্ট করেছিলাম যে রাস্তাটি আমাদের দ্বারা অবরুদ্ধ করা হয়নি। কেন্দ্র ও হরিয়ানা সরকার ব্যারিকেড স্থাপন করে আমাদের আটকে দিয়েছে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন