অসম, উত্তরপ্রদেশের পর এবার বিহারেও জন্ম নিয়ন্ত্রণে কথাবার্তা শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। যোগী সরকারের এক সন্তান নীতিতে সমর্থন জানিয়ে এবার অন্যান্য রাজ্যগুলোও একই পথে হাঁটতে চলেছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি কর্নাটকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন আনার দাবি করেছেন। যদিও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এইসব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই চেয়েছেন। তাঁর মতে, বললেই এভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন আনা যায় না। প্রত্যেক রাজ্যরই স্বাধীনভাবে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা রয়েছে। সেইদিক থেকে বিচার করলে একজন মহিলা শিক্ষিত হলেই সচেতনভাবে এই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। এবং শিশু জন্মের হার কমতে থাকবে।
২০১১ জনগণনা অনুসারে, বিহারে প্রত্যেক কিলোমিটারে ১ হাজার ১০৬ জন মানুষ বাসবাস করেন। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের পর বিহার হচ্ছে ভারতের তৃতীয় জনবহুল রাজ্য। উল্লেখ্য, বিজেপির জোট শরিক হিসেবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে নীতিশ কুমারের উৎসাহের অভাবে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। বিহার বিজেপির প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল রাজ্যে 'এক সন্তান নীতি'-র পক্ষে সওয়াল করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৬-০৭ সালে নীতিশ নিজেই ২-এর বেশি সন্তানের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেন। দুই সন্তানের বেশি থাকলে সেই প্রার্থী মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে লড়তে পারবেন না বলেও জানান। সুতরাং, এখন এক সন্তান নীতিতেও নীতিশের সমর্থন জানানো উচিত বলে মনে করেন সঞ্জয়।
বিহার বিজেপি বিধায়ক হরিভূষণ ঠাকুর বলেন, ভারতকে ইসলামিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সুতরাং, বিহার সরকারের উচিত অবিলম্বে এই আইন রাজ্যে বলবৎ করা। যদিও জেডি(ইউ) এবং বিরোধী দলের তরফে এমন দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেডি(ইউ) নেতা গুলাম গাউসের মতে, বিজেপি জন্ম নিয়ন্ত্রণের নাম করে সাম্প্রদায়িক দিক থেকে ভোটার তৈরির চেষ্টা করছে। আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করা হয়েছে এই আইনের মাধ্যমে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন