প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে এসে একবছরের জন্য শিবির স্থাপন করে থাকতে পারেন। কিন্তু তাতে মহাজোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি আরও বলেন, বিহারের মহাজোটকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি।
এদিন যাদব বলেন, “যদি বিজেপি নেতারা বিহারের জাতি ভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট নিয়ে সন্তুষ্ট না থাকেন তাহলে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক জনগণনা করার কথা বলতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, যদিও এই ঘটনা ঘটবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর আমলারা চান না যে দেশে জাতি ভিত্তিক জনগণনা হোক। আমরা বিহারে এই জনগণনা করেছি সঠিক তথ্য সহ। কাজেই এই বিষয়ে কেউ আপত্তি জানালেও আমরা তাতে গুরুত্ব দিচ্ছি না।
আরজেডি নেতা বলেন, আমাদের সরকার কাজ এবং পরিষেবাতে বিশ্বাস করে। আমি বিজেপি নেতাদের কাছে জানতে চাই, তাঁরা যেসব রাজ্যে ক্ষমতায় আছেন সেখানে লক্ষ লক্ষ চাকরির কী হল? বিজেপি নেতৃত্ব খুব ভালোভাবে জানেন যে তাঁরা বিহারে মহাজোটের সঙ্গে লড়াইতে এঁটে উঠবেন না। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ একবছরের জন্য বিহারে থেকে গেলেও তাতে মহাজোটের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মধ্যে চলা সাম্প্রতিক বিতর্ক সম্পর্কে তিনি বলেন, সকলেই জানেন বিজেপি নেতারা দেশজুড়ে কী বলছেন আর কী করছেন। মহুয়া মৈত্র একজন শিক্ষিত মহিলা এবং তিনি এমন জায়গা থেকে পড়াশুনো করেছেন যেখানে ভর্তি হওয়াই খুব কঠিন। আমরা কোনোভাবেই তাঁর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি না। যেহেতু তিনি সংসদে কঠিন কঠিন প্রশ্ন তোলেন তাই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হচ্ছে। কোনও মানুষের চরিত্রহনন এবং মানহানি করা বিজেপির চিরকালের অভ্যাস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন