হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। তাঁর কথায়, বিজেপি হিমাচলের মানুষের রায়কে অবমাননা করছে। যা অসাংবিধানিক।
কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশে 'অপারেশন লোটাস' আতঙ্ক। রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী জয়ী হওয়ার পরই রাজ্যপালের কাছে আস্থা ভোটের দাবি করেন হিমাচলের বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর। বিজেপির দাবি, আস্থা ভোট হলে কংগ্রেস সরকার থাকবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে তারা। বিজেপির এই পরিকল্পনাকে তীব্র সমালোচনা করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লেখেন, "জনগণের ভোটে জয়ী হয়েই সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে হিমাচল প্রদেশে সরকার গঠন করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপি মানুষের রায়কে টাকা দিয়ে কিনতে চাইছে"।
তিনি আরও বলেন, "বিজেপির এই মনোভাব অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক। হিমাচল প্রদেশ এবং দেশের মানুষ সবকিছু দেখছে। যে বিজেপি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা এখন রাজ্য দখল করতে চায়"।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির হর্ষ মহাজন। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। অথচ বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক রয়েছে ৪০। এ ছাড়া তিন জন নির্দল বিধায়ক কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করছেন।
অন্য দিকে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৫। অর্থাৎ, সরকার পক্ষের ন’জন বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে হর্ষকে ভোট দিয়েছেন। এরপরই বিজেপি দাবি তুলেছে, লোকসভা ভোটের আগেই হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন