রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তী ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে অশান্তির খবর শোনা যাচ্ছে, তার জন্য শিবসেনা বিজেপির দিকেই আঙুল তুলল। রবিবার দলীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই ইস্যুতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। দলীয় মুখপত্র 'সামনা'য় সাপ্তাহিক কলামে তিনি লিখেছেন যে, নির্বাচনে জেতাকে পাখির চোখ করে যারা মৌলবাদের আগুন জ্বালাচ্ছে, শান্তি নষ্ট করছে, তারা আসলে দ্বিতীয় দেশভাগের বীজ বপন করছে।
প্রসঙ্গত, রামনবমীর দিন মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যোগী রাজ্য গুজরাট। দেশের আরও কয়েকটি জায়গা থেকে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে নানা অশান্তি হচ্ছে বলে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে অশান্তির জেরে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিরোধীরা এরজন্য বিজেপিকে কাঠগোড়ায় তোলে। সেই ঘটনা নিয়েই ফের আরও একবার গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সঞ্জয়। এই অশান্তি 'ভগবান রামের ধারণার' অপমান বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের খারগোনে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে সঞ্জয় বলেছেন, 'ভগবান রামও খারগোনে যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে, সেই ঘটনার জন্য অস্থির হবেন।' ১০ এপ্রিল রামনবমীতে দেশের বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কথা উল্লেখ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এটি দেশের জন্য ভাল লক্ষণ নয়।
সঞ্জয়ের অভিযোগ, 'আগে, রামনবমীর মিছিল হত সংস্কৃতি ও ধর্ম নিয়ে। কিন্তু এখন তরবারি দেগে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের বাইরে হিংসা সৃষ্টি হয়েছে।' রাউত মহারাষ্ট্রের উদ্ভব ঠাকরের সরকারের সঙ্গে বিজেপির তুলনাও করে বলেছেন, হিন্দু ও মারাঠি নববর্ষ উপলক্ষে ২ এপ্রিল গুধি পাডওয়ায় মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রে সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা বের হয়। কিন্তু এই মিছিলগুলি মুসলিম এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও হিংসা ছড়ায়নি।
এরপর গুজরাটের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ' কেন রামনবমীতে হিংসা হবে? কেউ কি বিশ্বাস করতে পারে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাটে রাম নবমীর মিছিলে মুসলিমরা পাথর ছুড়বে?' প্রসঙ্গত, গুজরাটের রাজধানী গান্ধীনগর থেকে ৭০ কিমি দূরে হিম্মতনগর ও ১২৫ কিমি দূরে খামভাতে রামনবমীর দিনে সংঘর্ষ ঘটেছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন