দলের কর্মসূচীতে যোগ দেয়নি কেন? এই 'অপরাধে' আসামের এক যুব বিজেপি নেতার হাতে উত্তম-মধ্যম মার খেতে হল এক সাধারণ দিনমজুর দম্পতিকে। ওই জনৈক দম্পতিকে মারধরের অভিযোগে সোমবার রাতে আসামের শিবসাগর জেলার গৌরীসাগর এলাকা থেকে অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলার এক উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তা মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সোমবার রাতে অংশুমান বোরা নামের এক যুব বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মসূচীতে যোগ না দেওয়ায় এক দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে।”
রবিবার আসামের শিবসাগর জেলার আমগুরি বিধানসভা কেন্দ্রের চারিং-এ একটি মিছিল ও সমাবেশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা। স্থানীয় বিজেপি সূত্রে খবর, সমাবেশে অপ্রত্যাশিতভাবে মানুষের উপস্থিতি বেশ কম ছিল। জনগণের এই প্রতিক্রিয়া দেখে স্থানীয় নেতৃত্ব বেশ বিরক্ত। সেই কর্মসূচীতে যোগ না দেওয়ায় টমাস সঙ্গম নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে যান বিজেপির গৌরীসাগর এলাকার মণ্ডল সমিতির সাধারণ সম্পাদক অংশুমান বোরা। কিন্তু তখন বাড়িতে ছিলেন না টমাস। কর্তার অনুপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা সঙ্গমকে মারধর করেন অংশুমান, এমনটাই অভিযোগ। গুরুতরভাবে আহত পূর্ণিমাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে পূর্ণিমা জানিয়েছেন, “আমি একটি হোটেলে দিনমজুরের কাজ করি। সেই কাজের জন্যই আমার পক্ষে দলের কর্মসূচীতে যাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু অংশুমান বোরা সেসব কিছুই শুনতে চাননি। তিনি আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে কাঠ দিয়ে মারধর করেন।”
অন্যদিকে, পূর্ণিমার স্বামী টমাসও অভিযোগ করেছেন, “আমি বাজার থেকে বাড়ি ফিরলে অংশুমান বোরা আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। আমি তাঁকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছি যে আমরা দুজনেই দিনমজুরের কাজ করি। একটা দিনও কাজে কামাই করলে আমাদের চলে না। কিন্তু উনি আমার কথা না শুনে মারধর চালিয়ে যান।” পরবর্তীতে ওই দম্পতি গৌরীসাগর থানায় ওই যুব বিজেপি নেতার নামে মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় অংশুমান বোরাকে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন