মানবপাচারে অভিযুক্ত এক বিজেপি নেতা-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করল আসাম পুলিশ। আসামের হোজাই জেলার মুরাঝার অঞ্চলের এক নাবালিকাকে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাকে দিল্লির এক পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে ওই পাচারকারী দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বুধবার হোজাই জেলার মুরাঝার থেকে অভিযুক্ত এক স্থানীয় বিজেপি নেতা-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর তাদের হোজাইয়ের শংকরদেব নগর জেলা আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের পক্ষ থেকে মূল অভিযুক্ত পারবিনা বেগম ও তাঁর ভাই আজমল হুসেনকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, বাকি অভিযুক্ত বিলাল উদ্দিন, আফজল হুসেন, নাসির হুসেন ও বিজেপি নেতা আব্দুল করিমকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আসাম পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, মুরাঝারের এক নাবালিকাকে চাকরির প্রস্তাব দিয়ে প্রলুব্ধ করে তাঁকে দিল্লির এক পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয় ওই ৬ অভিযুক্তের দল। পরে যদিও পতিতালয় থেকে পালিয়ে ওই নাবালিকা কোনওরকমে দেরাদুনে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে তিনি স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নেন এবং মঙ্গলবার ‘অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’-এর সহায়তায় তাঁর পরিবার তাঁকে হোজাইতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
নিজের পরিবারের কাছে ফিরে এসে ওই নাবালিকা হোজাই থানায় গিয়ে বিজেপি নেতা-সহ বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। যে অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘প্রটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ বা পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলেও আসাম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন