দিল্লির যন্তর-মন্তরে মুসলিম বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়কে গ্রেফতার করলো দিল্লি পুলিশ। রবিবার যন্তর-মন্তরে হওয়া ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন অশ্বিনী উপাধ্যায়, এমনটাই দাবি পুলিশের। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
অশ্বিনী উপাধ্যায় ছাড়া আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদেরও অশ্বিনী উপাধ্যায়ের সাথে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
গত দু'দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া এবং মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক হারে ভাইরাল হয়েছে যন্তর-মন্তরে দেওয়া মুসলিম বিরোধী স্লোগান। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন আমজনতা। চাপের মুখে পড়ে গতকাল FIR দায়ের করে পুলিশ এবং আজ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিতে মুসলিমদের হত্যা করার হুমকি দিতে দেখা গেছে কয়েকজন ব্যক্তিকে। হিন্দুস্তানে থাকতে গেলে জয় শ্রী রাম বলতেই হবে - একদল লোককে চিৎকার করে এই স্লোগান দিতে দেখা গেছে। "রাম রাম" স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। এই সমস্ত কিছু হয়েছে সংসদ এবং শীর্ষ সরকারি অফিসগুলো থেকে বড়জোড় ১ কিমি দূরে।
ভিডিওতে পরিস্কারভাবে অশ্বিনী উপাধ্যায়কে দেখা গেছে, যিনি দিল্লি বিজেপির কার্যনির্বাহী সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। যদিও তাঁর দাবি এই স্লোগানের বিষয়ে কোনো ধারণা নেই তাঁর।
এক বিবৃতিতে উপাধ্যায় জানিয়েছেন, সেভ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক ঔপনিবেশিক আইনের বিরুদ্ধে এই র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। সেভ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি মিঃ আরভিএস মণি, মিঃ গজেন্দ্র চৌহানের মতো অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম সেখানে। আমরা ১১ টার সময় ওখানে পৌঁছেছিলাম এবং ১২টায় চলে এসেছি। আমার সাথে এই দুষ্কৃতীদের কোনোদিন দেখা হয়নি।"
অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পাশাপাশি সেভ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর প্রীত সিংকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি চারজন হলেন - বিনোদ শর্মা, দীপক সিং, বিনীত ক্রান্তি এবং দীপক।
ভিডিওতে অভিযুক্তদের স্পষ্ট দেখতে পাওয়া গেলেও পুলিশ কেন আগে এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন