রাজ্যের উন্নয়নে তহবিলের টাকাই খরচ করতে পারেননি গুজরাটের BJP বিধায়করা। গত পাঁচ বছরে বরাদ্দকৃত পুরো বিধায়ক তহবিলের ১,০৭৬ কোটি টাকার মধ্যে ফিরে গিয়েছে ২৭২ কোটি টাকা! শনিবার, এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ কেন্দ্রের মোদী সরকার।
একদিকে, রাজ্যের উন্নয়নের নামে গনগণের কাছ থেকে ভোট চাইছে বিজেপি নেতারা। গুজরাটে এসে সভা করেছেব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আর, সেই সময়ই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার রিপোর্টই জানাচ্ছে- জনগণের উন্নয়নে অনীহা রয়েছে বিজেপির বিধায়ক-মন্ত্রীদের। এর জেরেই বিধায়ক তহবিলের পুরো অর্থ খরচ হয়নি। বরাদ্দের ২৭২ কোটি টাকা সরকারের কাছে ফিরে গিয়েছে।
গুজরাটে, প্রায় তিন দশক ধরে ক্ষমতার কেন্দ্রে রয়েছে- বিজেপি। ২০২২ সালে আবার ক্ষমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে মোদী-শাহের দল। কিন্তু, তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত এই রিপোর্টে অস্বস্তিতে স্বয়ং মোদীর দলই।
রিপোর্টে উল্লেখ, যে সমস্ত বিধায়করা তহবিলের অর্থ উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল (Bhupendrabhai Patel)। তাঁর কেন্দ্র ঘাটলোদিয়া-য় উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ২৭ শতাংশই খরচ করতে পারেননি।
আরও খারাপ অবস্থা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী (Vijay Rupani)-র। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র হল রাজকোট (পশ্চিম)। এই কেন্দ্রে বিধায়ক তহবিলের ৪২ শতাংশ টাকা খরচ হয়নি। জানা যাচ্ছে, ২০২১ সালে রূপাণীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁর কেন্দ্রে বিধায়ক তহবিলের কোনও টাকাই খরচ করা হয়নি।
তবে, বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচের দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়করা। সবার থেকে এগিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুখরাম রাথভা (Sukhram Rathva)। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ছোট উদয়পুরের জন্য বরাদ্দকৃত ৯১.৬৯ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে। আর, কেন্দ্রে কাছে ফিরে গেছে মাত্র ৮.৩১ শতাংশ টাকা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রতিটি বিধায়ক নিজস্ব এলাকায় উন্নয়ন করার জন্য প্রতি বছর দেড় কোটি টাকা পান। এই টাকায় কী ধরনের কাজ হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু, ৫ বছর পর- নতুন বিধানসভা গঠিত হলে খরচ করতে না পারা টাকা ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন