গোয়ার পাশাপাশি বিহার বিজেপিতেও সঙ্কট। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন নারকাটিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক রশ্মি বর্মা। যদিও বিজেপির দাবি ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার আগেই বিধায়ককে বোঝানো হয়েছে এবং তিনি এটি প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছে।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ছবি শেয়ার করেন রশ্মি বর্মা। সেখানেই তিনি নিজের ইস্তফার কথা জানান। তাঁর হাতে স্পিকার বিজয় কুমার সিনহাকে লেখা ইস্তফা পত্র ধরাও ছিল।
তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল সোমবার জানিয়েছেন, স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আগেই বিধায়ককে বোঝানো হয়েছে এবং তিনি এটি ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন। মিঃ জয়সওয়াল বলেন, "কারো প্ররোচনায় পা দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উনি (রশ্মি বর্মা)। এখানে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই, পুরোটাই পারিবারিক কলহের প্রতিক্রিয়া ছিল।"
রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, "বিধায়ক তাঁর প্রয়াত স্বামীর ভাইদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। অপর পক্ষের কেউ একজন তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে কুৎসিত মন্তব্য করায় ক্ষোভের সাথে তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই বিষয় নিয়ে আর কোনো কথা নয়।"
প্রসঙ্গত, গত মাসে উত্তরপ্রদেশে একটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিধায়কের ভাইকে। ধৃত ব্যক্তি বিহারের বিজেপি বিধায়কের ভাই - বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। বিষয়টি থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন রশ্মি বর্মা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে 'বড় মাপের নেতা' হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর মতো 'ছোট রাজনৈতিক নেতাদের' গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গোয়ায় বিজেপির এক মন্ত্রী এবং এক বিধায়ক দল ছেড়েছেন। আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় চরম বিপাকে গেরুয়া শিবির।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন