নির্বাচনে জিতেই রাস্তার ধারে থাকা আমিষ দোকানগুলি বন্ধের নির্দেশ দিলেন রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক বালমুকুন্দ আচার্য। একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে পুলিশ আধিকারিককে নির্দেশ দিতেও দেখা যায় ওই বিধায়ককে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
রবিবার রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। ওই রাজ্যের হাওয়া মহল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৯৭৪ ভোটে জয়লাভ করেছেন বালমুকুন্দ আচার্য। তিনি হারান কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আর আর তিওয়ারিকে। ফল প্রকাশের পরের দিনই অর্থাৎ সোমবার নিজের বিধানসভা এলাকায় ঘোরেন তিনি। সেই সময় তাঁর নজরে রাস্তার ধারের আমিষ ফাস্ট ফুডের দোকানগুলি। যা দেখে বেশ অসন্তুষ্ট হন বিজেপি বিধায়ক।
একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, রাস্তার ধারে এইভাবে আমিষ খাবার বিক্রি করা যায় না। সব দোকান বন্ধ করতে হবে। তিনি এক পুলিশ আধিকারিককে প্রশ্নও করেন যে রাস্তায় এইভাবে আমিষ বিক্রি করা যায় কিনা? এদের কাছে লাইসেন্স আছে কিনা সন্দেহ রয়েছে। অবিলম্বে সব দোকান বন্ধ করতে হবে। ওই আধিকারিকের কাছে রিপোর্টও তলব করেন বালমুকুন্দ আচার্য।
বিজেপি বিধায়কের নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করেছে 'পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ' নামের একটি সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গরিব মানুষ কী করে নিজেদের পেট চালাবে? রাস্তার ধারে খাবার বিক্রেতাদের জন্য আইনও আছে। সেই অধিকারেই তারা খাবার বিক্রি করে। কিন্তু আইনে কোথাও বলা নেই যে একজন বিক্রেতাকে নিরামিষ খাবারই বিক্রি করতে হবে। কী খাবার বিক্রি করবে সেটা সম্পূর্ণ বিক্রেতার ব্যাপার।
ওই সংস্থার তরফ থেকে আরও বলা হয়, বিধায়ক এখনও শপথ নেননি। ঠিক করে তার আগেই কী করে হকারদের হুমকি দিতে পারেন? এটা তো আইন লঙ্ঘনের সমান। রাজস্থান শান্ত রাজ্য। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। সেখানে এই ধরণের কাজ আশা করা যায় না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন