ফের বড়সড় ধাক্কা খেল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। দল ছাড়লেন আরও এক বিধায়ক। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির প্রধান ভি.ডি শর্মাকে চিঠি লিখে দল থেকে পদত্যাগ করলেন মধ্যপ্রদেশের কোলারাসের বিধায়ক ব্রিজেন্দ্র সিং রঘুবংশী।
২০২০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে গোয়ালিয়রের প্রভাবশালী নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদাবের পর পর থেকেই তাঁকে ‘একঘরে’ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে দলের রাজ্য কমিটি থেকেও পদত্যাগ করেছেন ব্রিজেন্দ্র। এই নিয়ে গত কয়েকমাসেই চার জন নেতা বিজেপি ছাড়লেন। আর মাত্র কয়েকমাস পরেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এইভাবে বারবার ধাক্কা রাজ্য বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির প্রধান ভি.ডি শর্মাকে চিঠি দিয়ে ব্রিজেন্দ্র জানিয়েছেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, আজ আমি বিজেপির সদস্য পদ থেকে এবং দলের রাজ্য কমিটি থেকে পদত্যাগ করছি। আমি গত ৫ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। কিন্তু তিনি কিছুই করেননি।”
শিবপুরি জেলার কোলারাস কেন্দ্রের বিধায়কের আরও অভিযোগ, “জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলের সমস্ত কাজকর্ম থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে।”
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “শিবপুরি এবং কোলারাসে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করা হয়েছে এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার আদেশেই এসব করা হয়েছে। আমার অনুগামীদের নিয়মিত উত্যক্ত করা হয়েছে।” ২০২০ সালে কৃষকদের নিয়ে সিন্ধিয়ার পরিকল্পনা কংগ্রেস পূরণ করতে পারেনি বলেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে মনে করিয়ে দিয়ে ব্রিজেন্দ্র আরও দাবি করেছেন, “কৃষকদের জন্য কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলেও এখনও পর্যন্ত উনি কৃষকদের নিয়ে কোনও কথাই বলেননি।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “রাজ্যের বিজেপি সরকারে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করছে কমিশন। আর এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গোয়ালিয়র-চম্বলপুর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জানাচ্ছেন, ‘মন্দিরে নাকি প্রসাদ তো দিতেই হবে’।” এছাড়াও, শিবপুরি ও রাজ্যের বিভিন্ন কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে কৃষকদের জমানো অর্থ দীর্ঘদিন ধরে একটি নির্দিষ্ট শক্তিশালী দলের নেতারা ‘লুঠ’ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন