প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঐতিহাসিক নিদর্শন ‘তাজমহল’ ও ‘কুতুব মিনার’ ভেঙে ফেলার আবেদন জানালেন আসামের বিজেপি বিধায়ক রূপজ্যোতি কুড়মি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন ওই স্থানেই নতুন করে দুটি মন্দির নির্মাণ করা উচিত।
সম্প্রতি, মুঘল সাম্রাজ্যের উপর পুরো অধ্যায়ই দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের বই থেকে বাদ দিয়েছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (NCERT)। সারা দেশে যে স্কুলগুলিতে NCERT-র বই পড়ানো হয়, সেখানে ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ পড়বে মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস। এবার সেই মুঘল আমলে তৈরি দুটি স্মৃতি সৌধ কুতুব মিনার ও তাজমহল ভেঙে মন্দির তৈরির আর্জি জানালেন বিজেপি বিধায়ক।
তিনি বলেন, "আমি অবিলম্বে তাজমহল এবং কুতুব মিনার ভেঙে ফেলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি। এই দুটি স্মৃতিস্তম্ভের জায়গায় বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মন্দির তৈরি করা উচিত। ওই দুটি মন্দিরের স্থাপত্য এমন হওয়া উচিত যাতে অন্য কোনো স্মৃতিসৌধকে হার মানাতে পারে। মন্দির তৈরির জন্য আমি দেড় বছরের বেতন দিতেও প্রস্তুত রয়েছি"।
উল্লেখ্য, রূপজ্যোতি কুড়মি চার বারের বিধায়ক। ২০২১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে মারিয়ানি বিধানসভায় জয়লাভ করেছিলেন। বিজেপিতে যোগদানের পর ওই একই বিধানসভা থেকে নির্বাচনে জিতেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, NCERT ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সিলেবাসে পঠন-পাঠন শুরু করবে। দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস বই 'Themes of Indian History-Part 2' বিভাগ থেকে 'Kings and Chronicles; the Mughal Courts (C. 16th and 17th centuries)' শীর্ষক অধ্যায়টি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দি পাঠ্যপুস্তক থেকেও বেশ কিছু কবিতা ও অনুচ্ছেদ সরিয়ে দিচ্ছে NCERT।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন