মোদী-পদবী মামলায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা বিজেপি নেতাকে দলের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হল। দাদরা নগর হাভেলি এবং দমন দিউতে রাজনৈতিক বিষয়গুলির জন্য দলের ইনচার্জ হিসাবে নিযুক্ত করা হল পূর্ণেশ মোদীকে।
শুক্রবার বিজেপির তরফ থেকে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বিধায়ক পূর্ণেশ মোদিকে দাদরা নগর হাভেলি এবং দমন দিউ-এর ইনচার্জ হিসেবে নিযুক্ত করেছেন এবং দুষ্যন্ত প্যাটেলকে সহ-ইনচার্জ হিসাবে নিযুক্ত করেছেন।“
৫৮ বছর বয়সী পূর্ণেশ মোদী এখন সুরাট পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক। ২০১৩ সাল থেকে এই কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। ওই বছর উপনির্বাচনে জিতে প্রথম এই কেন্দ্রের বিধায়ক হন তিনি। এরপর ২০১৭ এবং ২০২২ সালেও জয়লাভ করেন তিনি। গুজরাট বিজেপির একজন বিশিষ্ট ওবিসি মুখ তিনি।
২০২১ সালে গুজরাট মন্ত্রিসভায় নিযুক্ত করা হয়েছিল পূর্ণেশ মোদীকে। পরিবহন, বেসামরিক বিমান চলাচল, পর্যটন এবং তীর্থযাত্রা উন্নয়ন পোর্টফোলিওগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় কর্ণাটকের কোল্লারের একটি সমাবেশে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মোদী পদবী নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কীভাবে সব চোরদের পদবী মোদী হয়?’
রাহুল এই মন্তব্য ‘পলাতক’ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও ললিত মোদীকে আক্রমণ করে করেছিলেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা এই মন্তব্যের সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। এই নিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সুরাতের আদালতে মামলা করেন পূর্ণেশ মোদী। তাঁর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই চলতি বছরের ২৩ মার্চ রাহুলকে ২ বছরের কারাবাসের শাস্তি দেন বিচারপতি। যার জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় রাহুলের। যদিও গত আগস্ট মাসে সুরাত আদালতের দেওয়া এই রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে ফের সাংসদ পদ ফিরে পান তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন