প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগে কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলো কর্ণাটক পুলিশ। নিজের চিনির কারখানার জন্য এক সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে।
সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েও সেই ঋণ মেটাননি অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক। একাধিক বার বিধায়ককে ঋণ মেটানোর আবেদন জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন কর্ণাটক স্টেট কো-অপারেটিভ অ্যাপেক্স ব্যাঙ্ক লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার রাজন্না মুথাশেট্টি। গত ৫ জানুয়ারি তিনি থানায় অভিযোগ জানান।
ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, রমেশ জারকিহোলির একটি চিনির কারখানা আছে। 'সৌভাগ্য লক্ষ্মী' চিনি কারখানার জন্য লোনের আবেদন জানিয়েছিলেন। আমরা সমস্ত নথি যাচাই করে বিধায়ককে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে ২৩২ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ আর্থিক লোনের ব্যবস্থা করে দিই। কিন্তু ২০২৩ সালের ৩১ অগাস্ট পর্যন্তও তিনি লোনের টাকা মেটাননি। বর্তমানে সুদ সহ যার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৩৯.০৭ কোটি টাকা। সেই টাকা কিছুতেই দিতে চাইছেন না বিধায়ক।
পুলিশ সূত্রে খবর, রমেশ জারকিহোলির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ ধারা এবং ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। দ্রুত তদন্ত শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, এই রমেশ জারকিহোলি প্রথমে কংগ্রেস করতেন। কর্ণাটকে ২০১৯ সালে কংগ্রেস ও জনতা দল (সেক্যুলার)-র জোট সরকারের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। পরে বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের জলসম্পদ মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ২০২১ সালে চাকরি দেওয়ার নাম করে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরই ইয়েদুরাপ্পার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন