দানিশ আলিকে নিয়ে করা মন্তব্য - সংসদীয় কমিটির সামনে হাজিরা দিলেন না বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি

People's Reporter: বিধুরি এই মুহূর্তে রাজস্থানে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। সেই কারণ দেখিয়েই সংসদীয় কমিটির হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি।
বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি
বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরিছবি সংগৃহীত
Published on

বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির বিরুদ্ধে হিংসাত্মক উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে সংসদীয় কমিটির শমন অগ্রাহ্য করলেন বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। দানিশ আলিকে করা বিধুরির মন্তব্য নিয়ে মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সংসদীয় কমিটি। কিন্তু এদিন ‘পূর্বপরিকল্পিত’ কাজের যুক্তি দিয়ে সেই ডাক এড়ালেন দক্ষিণ দিল্লির বিজেপি বিধায়ক রমেশ বিধুরি।

বিধুরি বর্তমানে রাজস্থানে দলীয় কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। দলের তরিফ থেকে মরুরাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে টঙ্ক জেলার নির্বাচনী প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দলের দেওয়া দায়িত্ব পালনে বিধুরি এই মুহূর্তে রাজস্থানে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। সেই কারণ দেখিয়েই সংসদীয় কমিটির হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বরে লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে ‘চন্দ্রযান-৩’ সংক্রান্ত আলোচনা চলাকালীনই বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে ‘উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদী’ বলে আক্রমণ করেন রমেশ বিধুরি। বসপা সাংসদ এর প্রতিবাদ করলে বিধুরিকে বলতে শোনা যায়, “বাইরে বের করুন এই মোল্লাকে”। এমনকি বিধুরি যখন এই মন্তব্য করছেন তখন পিছনে বিজেপির দুই সিনিয়র সাংসদ ডঃ হর্ষবর্ধন এবং রবিশঙ্কর প্রসাদকে হাসতে দেখা গেছে। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠলে বিজেপির তরফে বিধুরিকে ‘লোকদেখানো’ শোকজ করা ছাড়া আর কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। বরং এরপরই তাঁকে কার্যত ‘পুরস্কার’ হিসেবে রাজস্থানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

তবে এই ঘটনা নিয়ে একাধিক বিরোধী দলের সাংসদ বিধুরির বিরুদ্ধে লোকসভার বিশেষাধিকার কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। দানিশ আলির অভিযোগের পরেই কমিটি বিধুরিকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর থেকে এই বিষয়ে ‘মৌখিক প্রমাণ’ চায়। এই ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক অবশ্য পাল্টা দানিশ আলিকে আক্রমণ করেন। সংসদীয় কমিটির কাছে তাঁরা দানিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, বিএসপি সাংসদই প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করে বিবাদ শুরু করেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএসপি সাংসদ।

প্রসঙ্গত, বিধুরি গুর্জর সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। যে টঙ্ক জেলার নির্বাচনী প্রধান করা হয়েছে বিধুরিকে, সেই জেলায় মোট ৪টি বিধানসভা আসন রয়েছে এবং সবকটিতেই গুর্জর সম্প্রদায়ের বেশ বড় ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, টঙ্কের গুর্জর সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দখলে রাখার জন্যই রমেশ বিধুরির মতো ওই সম্প্রদায়েরই একজনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি
NewsClick: FIR-এ কৃষক আন্দোলন নিয়ে একাধিক অভিযোগ, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক SKM’র

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in