ফের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সত্যপাল মালিক। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল জানান, “বিজেপিকে না রুখতে পারলে গোটা দেশ ভবিষ্যতে মণিপুরের মতো জ্বলবে।” বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মালিকের এই কথায় আবারও শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মেইতেই-কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুর। একদিকে যেমন সে রাজ্যের বিজেপি সরকার রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাতে পুরোপুরি ব্যর্থ, অন্যদিকে তেমনই মণিপুরের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে অস্বাভাবিকরকম নীরব কেন্দ্রীয় সরকারও। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকদিন আগেই মণিপুর সফরে গেলেও সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করেননি তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জ্বলন্ত মণিপুর নিয়ে কার্যত নির্বাক থেকেই মার্কিন সফরে চলে গিয়েছেন। মণিপুরের এই সাম্প্রদায়িক হানাহানি নিয়ে কেন্দ্রের উদাসীনতার জন্য মোদী সরকারকে বারবার বিরোধীদের কটাক্ষের শিকারও হতে হচ্ছে। প্রতিবাদী সেই বিরোধীদের তালিকায় এবার নাম লেখালেন বিজেপিরই প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ সত্যপাল মালিক।
কয়েকদিন আগেই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গোয়া-মেঘালয়-বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল জানিয়েছেন, “গোটা মণিপুর গত ৪৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে জ্বলছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী মোদী মণিপুর নিয়ে একটিও কথা বলেননি। রাজ্য ও কেন্দ্র দুই বিজেপি সরকারই মণিপুরের এই সমস্যা নিয়ে উদাসীন বলে মনে হচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে আটকানো বিশেষ প্রয়োজন। নাহলে আজ মণিপুর যেভাবে জ্বলছে ভবিষ্যতে এভাবে গোটা দেশ জ্বলবে। এই বিজেপি সরকার ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই বোঝে না।”
এর আগেও বহুবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন সত্যপাল মালিক। এদিনও শুধু মণিপুর নয়, তাঁর কথায় উঠে এসেছে বহুদিন ধরে চলা কুস্তিগীরদের বিক্ষোভও। জাতীয় রেসলিং ফেডারেশনের প্রধান তথা বিজেপি সাংসদ ব্রীজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে দেশের হয়ে পদকজয়ী কুস্তিগীরদের প্রতিবাদ নিয়ে মালিক জানিয়েছেন, “এখনও কেন গ্রেফতার হননি ব্রীজভূষণ সিং? কারণ, ক্ষমতার নেশায় ডুবে আছে এই বিজেপি সরকার। তারা ভাবছে তারা অপ্রতিরোধ্য।” ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর জন্য লক্ষ্যে দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় এসে লড়াই করার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন