দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে শুক্রবার দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। ১৪ ঘণ্টার এই অভিযান শেষের পরই এই বিষয়ে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানায় নিউইইয়র্ক টাইমস। শুক্রবার আমেরিকার এই বিখ্যাত সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় মণীশ সিসোদিয়ার কাজের ভূয়সী প্রসংশা করা হয়।
দিল্লির স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে একথা জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির তরফ থেকে এই প্রতিবেদনটিকে 'পেইড নিউজ' বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। যার প্রতিক্রিয়ায় একথা জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
এনওয়াইটির মুখপাত্র নিকোল টেইলর এনডিটিভিকে জানান, "দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের প্রচেষ্টার বিষয়ে আমাদের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং গ্রাউন্ড রিপোর্টিংয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস বহু বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের খবর প্রকাশ করছে।" তিনি আরও বলেন, "বিজ্ঞাপন বা রাজনৈতিক প্রভাব থেকে নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিকতা সর্বদা মুক্ত এবং স্বাধীন।"
এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, নিউইয়র্ক টাইমস একটি বিশ্বমানের সংবাদপত্র। দিল্লির উন্নয়নে কেজরিওয়ালের সহকারী হিসেবে সিসোদিয়ার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে এনওয়াইটি। প্রতিবেদনে তাঁকে যথেষ্ট কৃতিত্বও দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই।
তিনি আরও বলেন, "সিবিআই এমন দিনেই তল্লাশি চালিয়েছে, যেদিন দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। এমনকি প্রতিবেদনের প্রথম পাতায় তাঁরা মণীশ সিসোদিয়ার ছবি ছাপিয়েছে।"
আম আদমি পার্টির অভিযোগ, বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই প্রতিবেদনটিকে 'পেইড নিউজ' বলে চিহ্নিত করে সিসোদিয়া এবং নিউইয়র্ক টাইমসকে অপমান করতে চেয়েছে। এ নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ। বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, "আপনাদের যা অর্থ আছে, ক্ষমতা আছে তা ব্যবহার করে যদি সম্ভব হয়, তাহলে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার চেষ্টা করে দেখুন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন