বিতর্ক কিছুতেই থামছে না বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। স্কুল সিলেবাস নিয়ে বিতর্কে এমনিতেই জেরবার বাসভরাজ সরকার। এরইমাঝে আবার রাজ্য ভাগের দাবি তুলেছেন বাসভরাজ সরকারের খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী উমেশ কাট্টি। যার জেরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অস্বস্তিতে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই।
রাজ্যে সামাজিক অস্থিরতা, পাঠ্যপুস্তক বিতর্ক, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের জন্য দলের অন্দরে চাপ এমনিতেই আছে। এরইমাঝে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে উত্তর কর্ণাটকের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবি জানিয়েছেন কাট্টি। আর এই বিভাজন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে কর্ণাটকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণাটক বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি. স্যানারাপ্পা জানিয়েছেন, কর্ণাটক সরকারের এক ক্যাবিনেট মন্ত্রী এই ধরনের বিরূপ মন্তব্য করছেন। উত্তর কর্ণাটক, বিজেপির একটি শক্ত ঘাঁটি। লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের মানুষ এখানে বসবাস করেন, যারা বিজেপির মূল ভোটব্যাঙ্ক।
অন্যদিকে, কর্ণাটকের উপকূলীয় জেলাগুলি নিয়ে একটি পৃথক ‘তুলুনাদুর’ দাবিও রয়েছে। এই অঞ্চলটিকে বিজেপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবেও বিবেচিত। এ প্রসঙ্গে স্যানারাপ্পা বলেন, যদি সেখানে আলাদা রাজ্য হয় তাহলে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
স্যানারাপ্পা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে নিরবতাই শ্রেয়। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। যদি সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষ কর্ণাটককের ভাগ সরব হয়, তাহলে এই বিতর্ক বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
শুধু তাই নয়, সরকারি অনুষ্ঠান বা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে (বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসাবে রাজ্য সরকারের দেওয়া ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি) ‘মাইসুরু পেটা’ পরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রী উমেশ কাট্টি। তিনি সকলকে দক্ষিন কর্ণাটকের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি না পরার আবেদন জানিয়েছেন।
সাম্প্রতি এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাইসুরু পেটা পরতে অস্বীকার করেন তিনি। সেইসঙ্গে জানান, পৃথক রাজ্যের প্রয়োজন, এ জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সর্বশেষ মন্তব্যে মন্ত্রী কাট্টি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২৮ রাজ্য থেকে ৫০ টি রাজ্য গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।
তবে, মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই সহ বিজেপি অন্যান্য মন্ত্রীরা উমেশ কাট্টির বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। এ নিয়ে আর বিতর্ক না বাড়ানোর জন্য কাট্টিকে সতর্ক করেছে বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন