লোকসভা নির্বাচনের মুখে কর্ণাটকে ফের 'অপারেশন লোটাসের' ভ্রূকুটি। কংগ্রেসের সরকার ফেলতে বিধায়ক পিছু ৫০ কোটি টাকার টোপ দিয়েছে বিজেপি। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তবে বিজেপির তরফ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সম্প্রতি জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ করতে শোনা যায় সিদ্দারামাইয়াকে। তিনি বলেন, বিজেপি আবার অপারেশন লোটাস শুরু করেছে। আমাদের বিধায়কদের ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে কেনার চেষ্টা করছে। শুধু অর্থই নয় অনেককে মন্ত্রিত্বের লোভও দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, গতবছরই কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জয়ী হয় কংগ্রেস। হাত শিবিরের ঝুলিতে যায় ১৩৫টি আসন। বিজেপি পায় ৬৬ আসন এবং জেডি(এস) পায় ১৯টি আসন। ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্ণাটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১৩টি আসন। কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকে অপারেশন লোটাস এই প্রথম নয়। আরও পরিষ্কার বললে বলা উচিত কর্ণাটকেই প্রথম ‘অপারেশন লোটাস’ শব্দবন্ধ চালু হয়েছিল। ২০১৯ সালে 'অপারেশন লোটাস' করে দক্ষিণের এই রাজ্যে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার ভেঙেছিল বিজেপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপির দখলে ছিল ১০৪ আসন। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। কংগ্রেস-জেডিএস জোট করে সরকার গঠন করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জেডিএস-এর কুমারস্বামী। কিন্তু ২০১৯ সালে অর্থ ও মন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে কংগ্রেস ও জেডিএস-এর মোট ১৭ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে বিজেপিতে এনে নতুন সরকার গঠন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন