এখনও মহারাষ্ট্রের নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। তবে তার আগেই ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক মহাযুতি জোট। এই জোটের মধ্যে রয়েছে বিজেপি, শিন্ডে গোষ্ঠীর শিবসেনা এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার)। আসন ভাগাভাগি নিয়ে তিন দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১৪০-১৫০টি আসনে লড়তে পারে বিজেপি। শিবসেনা লড়তে পারে ৮০টি আসনে এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে ৫৫টি আসনে।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ যে চাপে রয়েছে তা ২০২৪ লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল থেকেই পরিষ্কার। কারণ লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট জেতে ৩০টি আসনে এবং এনডিএ জোট জয়ী হয় ১৭টি আসনে। ১টি আসনে জয়ী হয় নির্দল প্রার্থী।
২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনের পর শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস একত্রিত হয়ে মহা বিকাশ আঘাদি জোট তৈরি করে সরকার গঠন করে। যদিও ২০২২-এর জুন মাসে শিবসেনা ভেঙে একনাথ শিন্ডে বেরিয়ে যাওয়ায় মহা বিকাশ আঘাদি সরকারের পতন ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন উদ্ধব ঠাকরে। অবিভক্ত শিবসেনা ভাগাভাগি হয়ে যায় শিবসেনা (উদ্ধব) এবং শিবসেনা (শিন্ডে) দলে। এরপর এনডিএ শিবিরে যোগ দিয়ে বিজেপির সহায়তায় সরকার গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে। এর কিছুদিন পরে এনসিপি-ও ভেঙে যায়। কাকা শরদ পাওয়ারকে ছেড়ে বেশ কিছু বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান ভাইপো অজিত পাওয়ার এবং এনডিএ শিবিরে যোগ দেন। বর্তমানে অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্র সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন