নির্বাচনে জেতার জন্য ‘হানিট্র্যাপ’-এর সাহায্য নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। সদ্য সমাপ্ত কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাঙ্গালুরুর রাজারাজেশ্বরী নগর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মুনিরাথনা নাইডু স্থানীয় নেতা ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের হানিট্র্যাপে ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন তাঁরই এককালের সমর্থক ভেলু নাইকার। রবিবার বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়কদের কংগ্রেসে যোগদানের অনুষ্ঠানেই এমন অভিযোগ করেন ভেলু।
সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কর্পোরেটর ভেলু এদিন জানিয়েছেন, “বিজেপি বিধায়ক মুনিরাথনার একটি স্টুডিও রয়েছে, যেখান থেকে তিনি মধুচক্র চালান। সেখানে নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ডেকে এনে তাঁদের হানিট্র্যাপে ফেলা হয়। পরে সেই নেতাদের ভিডিও রেকর্ডিং দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “মুনিরাথানা একজন চলচিত্র প্রযোজক। ওর প্রথম ছবি ছিল ‘আন্টি প্রেস্টসে’ অর্থাৎ Aunty, love me। তিনি মন্ত্রী হওয়ার পর এখন সেই আন্টিদের বিকাশ সৌধ (সরকারি দফতর), বিধান সৌধ (কর্ণাটক বিধানসভা) ও তাঁর চেম্বারেই দেখতে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি, জে.আর পার্ক ও ডলারস কলোনিতেও তিনি তাঁর নতুন স্টুডিও তৈরি করেছেন। তাঁর জন্য এই হানিট্র্যাপ ও ব্ল্যাকমেইল খুব সাধারণ একটা ব্যাপার।”
রবিবারের কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে ভেলুর এই অভিযোগের ভিডিও ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। এদিনের ওই অনুষ্ঠানে মুনিরাথানার কাছে পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী কুসুম হনুমান্তারায়াপ্পাও উপস্থিত ছিলেন। ২০২৩ কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাঙ্গালুরুর রাজারাজেশ্বরী নগর কেন্দ্রে মুনিরাথানার কাছে ১১,৮৪২ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন কুসুম। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের উপ-নির্বাচনেও বিরোধী প্রার্থীকে ৫৮,১১৩ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন মুনিরাথানা। তবে রবিবার ভেলুর এই অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের সব জয়কেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। পাশাপাশি, কর্ণাটক বিজেপিও ভেলুর অভিযোগ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এই অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম মন্তব্য বা বিরোধীতা করেননি মুনিরাথানা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন