ফের বেঙ্গালুরুর মেট্রোতে অপরিষ্কার পোষাক পরার কারণে চড়তে বাধা দেওয়ার ঘটনা সামনে এল। জানা গেছে, বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (বিএমআরসিএল) আধিকারিকরা ওই ব্যক্তিকে মেট্রোতে ওঠার জন্য পরিষ্কার পোষাক পরে আসতে এবং জামার সমস্ত বোতাম যেন লাগানো থাকে এমন নির্দেশ দেন। অন্যথায় তাঁকে মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়টি জানান এক ব্যবহারকারী। তাঁর পোস্ট অনুযায়ী ঘটনাটি তাঁর সামনেই ঘটেছে। পোস্টে ওই ব্যক্তির একটি ছবিও দিয়েছেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে খুব সামান্য মানের একটি শার্ট ও প্যান্ট পরে উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ব্যক্তিটি। শার্ট ও প্যান্ট - দুটোতেই অত্যধিক ভাঁজ পড়েছে। পায়ে একটি সাধারণ মানের জুতো।
নেট ইউজারকারী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এইমাত্র আমার সামনে আরও একটি কাপড়/পোশাক সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে। একজন শ্রমিককে মেট্রোতে চড়া থেকে আটকে দেওয়া হল। তাঁকে তাঁর জামার উপরের দুটি বোতাম সেলাই করতে বলা হয়েছিল। নম্মা মেট্রো কখন থেকে এমন হয়ে গেল?"
ওই পোষ্টে বিএমআরসিএল এবং বেঙ্গালুরু দক্ষিণের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্যকে ট্যাগ করেছেন তিনি।
এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। পরে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এই ঘটনার সাফাই দেওয়া হয়েছে। বিএমআরসিএল জানিয়েছে, সমস্ত যাত্রীদের সাথে সমান আচরণ করা হয়।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "যাত্রীরা ধনী বা দরিদ্র, পুরুষ বা মহিলা কিনা তার ভিত্তিতে কোনও পার্থক্য করা হয় না। কর্মকর্তারা সন্দেহ করেছিলেন যে যাত্রীটি মদ্যপ অবস্থায় ছিল কনা। সে কারণেই তাকে দাঁড় করানো হয়েছিল যাতে তিনি মহিলা ও শিশুদের সমস্যা না করেন তা নিশ্চিত করার জন্য। কাউন্সেলিং করার পর তাকে মেট্রোতে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়।“
উল্লেখ্য, এর আগে বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল কর্পোরেশন একজন কৃষককে মেট্রো চড়তে বাধা দিয়েছিল তাঁর অপরিষ্কার পোশাকের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা শুরু হয় এই ঘটনার। জনরোষের মুখে এক নিরাপত্তা কর্মীকে বরখাস্ত করেছিল বিএমআরসিএল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন