"সরকারের উচিত নিজের চোখের উপর বেঁধে রাখা পট্টি সরিয়ে সত্যের মুখোমুখি হওয়া। নদীতে অসংখ্য মৃতদেহ ভাসছে, হাসপাতালের বাইরে রোগীদের লম্বা লাইন। কিন্তু সরকারের পুরো লক্ষ্য 'সেন্ট্রাল ভিস্তা' প্রকল্পের ওপরেই স্থির হয়ে আছে।" করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করে নিজের ট্যুইটারে একথা লিখলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সোমবার বিহারের বক্সারে গঙ্গা নদীতে একাধিক মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, কোভিড আক্রান্তের মৃতদেহ এগুলো। এবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে গঙ্গা নদীতে একাধিক মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেল। দেহগুলো কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন বলে জানিয়েছেন গাজিপুরের জেলাশাসক। এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে ট্যুইটারে আক্রমণ করেছেন রাহুল গান্ধী।
এই ঘটনায় দুই রাজ্যেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বক্সারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত ৭১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। মৃতদেহগুলো বিহারের নাগরিকদের নয়, প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে ভেসে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে। বিহারের জলসম্পদ মন্ত্রী সঞ্জয় কুমার ঝা, যিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের অন্যতম প্রধান সঙ্গী, তিনিও নিজের ট্যুইটারে এই দাবি করেছেন।
বিহারের অপর এক বিজেপি সাংসদ জনার্দন সিং সিগরিয়ালের অভিযোগ, বিহারের সরনে জয়প্রভা সেতুর ওপর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কোভিড রোগীর মৃতদেহ ফেলা হয়েছে। এই জয়প্রভা সেতুর ওপারেই উত্তরপ্রদেশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার, দুই রাজ্য থেকেই কোভিড রোগীর মৃতদেহ এই সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁদের অভিযোগ, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এত বেশি যে শ্মশানে জায়গার অভাব হচ্ছে। দাহ করার জন্য কাঠেরও অভাব হচ্ছে। তাই নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে দেহ।
প্রসঙ্গত, আজই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে অ্যাম্বুল্যন্স চালকরা একটি সেতুর ওপর থেকে একাধিক মৃতদেহ নদীর জলে ফেলছে। পোস্টে দাবি করা হয়েছে মৃতদেহগুলো কোভিড আক্রান্তদের। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস্ রিপোর্টার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন