প্রস্তাবিত ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ (Free Trade Agreement) নিয়ে ব্রিটেনের (UK) সঙ্গে ভারতের (India) আলোচনা চলছে। তবে, ব্রিটেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আগামীতে কোন দিকে যায়, তা গুরুত্ব দিয়ে ‘পর্যবেক্ষণ’ করছে ভারত। বৃহস্পতিবার, এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)।
এদিকে, শুক্রবার, ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস (Liz Truss)। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। সেই সময়কাল পর্যন্ত ব্রিটেনের দায়িত্বে থাকবেন লিজ ট্রাস। তবে, ব্রিটেনে নয়া রাজনৈতিক টালমাটালের জেরে, ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের মুক্ত বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ কি হবে- তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহল।
যদিও, নয়াদিল্লিতে CII-এর শীর্ষ বাণিজ্য সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোয়াল বলেছিলেন, ‘ব্রিটেনে কি হয় (নেতৃত্বের পরিবর্তন) তা আমাদের দেখতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে। তাদের নেতৃত্বের দ্রুত পরিবর্তন হয় কি না, পুরো প্রক্রিয়ায় যায় কিনা...। তাই আসুন দেখি, কারা সরকারে আসে এবং তাদের মতামত কী। তারপরেই আমরা ব্রিটেনের সঙ্গে একটি কৌশল প্রণয়ন করতে সক্ষম হব।’
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘ব্রিটেনের রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়িকরা স্বীকার করেছেন যে, ভারতের সাথে একটি ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’ (Free Trade Agreement) করা তাদের জন্য ‘খুব’ গুরুত্বপূর্ণ।’ তাই, আমার ধারণা (ব্রিটেনে) সরকারে যারাই আসবে, তাঁরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবে।’
এদিন মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য চুক্তি হতে হবে সুষ্ঠু, ন্যায়সঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ। এটি উভয় পক্ষের জন্য আশাতীত হতে হবে, তা না হলে চুক্তি ফলপ্রসূ হবে না।
মন্ত্রী গোয়াল আরও বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানিতে $২ ট্রিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রা ‘চ্যালেঞ্জিং’। মনে হয়ে, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এটি করতে পারবো।’
তাঁর কথায়, পরিস্থিতি যদি ভারতের পক্ষে অনুকূল হয় এবং শিল্প যদি অধিক প্রচেষ্টা চালায়- আমরা এটি করতে পারবো। তবে দুঃখজনক বিষয় হল- মহামারী করোনা সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের মাঝে সংঘাতের জেরে বিশ্বব্যাপী প্রবল অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, মার্কেটিং বা পণ্য সরবরাহ নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন