বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির মুসলিম বিরোধী হিংসাত্মক মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ চাইলেন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে নীরবতা ভেঙে মন্তব্য করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। পাশাপাশি, দানিশের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করার যে অভিযোগ করেছেন বিধুরি, তাও খারিজ করে দিয়েছেন বসপা নেতা।
গত সপ্তাহে লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে সভা চলাকালীন সংসদের মধ্যেই বিএসপি সাংসদ দানিশ আলিকে ‘উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদী’ বলে আক্রমণ করেন দক্ষিণ দিল্লির বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি। বসপা সাংসদ এর প্রতিবাদ করলে বিধুরিকে বলতে শোনা যায়, “বাইরে বের করুন এই মোল্লাকে”। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠলে বিজেপির তরফে বিধুরিকে ‘লোকদেখানো’ শোকজ করা ছাড়া আর কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। বরং এরপরই তাঁকে কার্যত ‘পুরস্কার’ হিসেবে রাজস্থানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
এই ঘটনা নিয়ে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কিন্তু বিধুরির মন্তব্য নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই নীরবতা ভেঙে এ প্রসঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়ে দানিশ আলি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, “গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক হিসেবে গোটা বিশ্ব এখন খুব মনোযোগ দিয়ে ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। আর এই মহান দেশের প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ প্রধান হওয়ার সুবাদে সংসদীয় শালীনতা রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত আপনার।”
তিন পাতার ওই চিঠিতে বিধুরির মন্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দানিশের ‘উস্কানিমূলক’ টিপ্পনী করা নিয়ে বিজেপির অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন বিএসপি নেতা। দানিশের দাবি, “আপনার দলের অভিযোগ, সাংসদ রমেশ বিধুরির আগে আমি আপনার নামে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছি। কিন্তু আসল সত্যি হল, বিজেপি সাংসদ বিধুরিই প্রথমে আপনার নামে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করেন। সভার কার্যবিবরণী থেকেই এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তখন আমি উঠে আপনার নামে বিধুরির অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগের বিরোধিতা করি। তখনই খুব সম্ভবত নিজের ভুল বুঝতে পেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন। তখনই উনি আমার বিরুদ্ধেও হিংসাত্মক মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করেন।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন