রাজস্থানের কোটাতে ফের আত্মহত্যা করলেন এক পড়ুয়া। শেষ ১০ দিনে এই নিয়ে তিনজন পড়ুয়ার আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে রাজস্থানের কোটাতে এসেছিলেন নুর মহম্মদ (২৭) নামের ওই ছাত্র। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই পড়ুয়ার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায়। বৃহস্পতিবার রাতে পিজি রুম থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। সিলিং ফ্যানে দেহটি ঝুলছিল। মৃতদেহের পাশ থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, ওই পড়ুয়া ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত কোটায় প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এবং সম্প্রতি চেন্নাইয়ের এসআরএম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পান তিনি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি কোটার পিজি রুম থেকেই অনলাইন ক্লাস করতেন।
মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই পড়ুয়ার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। নুরের ঘনিষ্ঠ এবং বন্ধুদের কাছে থেকে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ বছর কোটায় এখনও পর্যন্ত তিনটি আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ২৯ জানুয়ারী, ১৮ বছর-বয়সী নিহারিকা সিং কোটায় নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছিলেন। JEE-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নিহারিকা। তিনি তার বাবা-মায়ের কাছে দুঃখিত এবং নিজেকে ‘লুসার’ বলে একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন৷
এর আগে ২৩ জানুয়ারি, ১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ জাইদকে কোটায় তাঁর হোস্টেলের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলা থেকে এক বছর আগে মেডিক্যালের এন্ট্রান্স পরীক্ষার NEET-এর প্রস্তুতির জন্য কোটায় এসেছিলেন। এ ঘটনায় কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।
গত বছর, কোটায় ২৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। কোটায় সারা দেশ থেকে পড়ুয়ারা জাতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা (JEE)-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আসেন। কোটায় পর পর পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। হস্টেল এবং কোচিং সেন্টারগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আত্মহত্যার ঘটনা কমছে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন