গত দুই বছরে সরকার একাধিক উল্লেখযোগ্য প্রকল্প শুরু করেছে। তাই লকডাউন চলাকালীন ভারতবর্ষে কেউ ক্ষুধার্ত থাকেনি। সরকার ৮০ কোটি মানুষকে ১৯ মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন বিতরণ নিশ্চিত করেছে। এমনই বললেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
২০২২ সালের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রেসিডেন্ট তাঁর ভাষণে বলেন – “করোনা মহামারী চলাকালীন বেশ কয়েকটি দেশ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সংবেদনশীল সরকার যাতে কোনও দরিদ্র ক্ষুধার্ত না থাকে, তা নিশ্চিত করেছিল। ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ ১৯ মাসের জন্য ৮০ কোটি দরিদ্র ভারতীয়কে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন – “এটি বিশ্বের বৃহত্তম বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি। আমরা প্রকল্পটি ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছি। আমরা এর জন্য ২.৬০ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছি।” রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে কৃষকদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, বিশেষ করে ৮০ কোটি ক্ষুদ্র জমির মালিক কৃষক, যারা মহামারী সত্ত্বেও ৩০ কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য চাষ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সরকার খরিফ ও রবি শস্য কেনার জন্য কৃষকদেরকে বরাবর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) দিয়ে এসেছে। এই প্রসঙ্গে বলেন – “সোচ নাই হো তো পুরানে সংসদো সে ভি নায়ে রাস্তে বানায়ে জা সক্তে হ্যায় । অর্থাৎ, যদি আমরা একটি উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে চিন্তা করি, আমরা পুরানো সম্পদ দিয়েও বিস্ময়কর কাজ করতে পারি।
রাষ্ট্রপতি কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রশাসন, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং এমনকি নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি গণতন্ত্রের ঐক্যবদ্ধ শক্তির একটি উদাহরণ। টিকা সহ স্বাস্থ্যখাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলি বর্ণনা করে তিনি বলেন, “আজ ৯০ শতাংশ বা তার বেশি প্রাপ্তবয়স্করা অন্তত টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন।”
এছাড়াও রাষ্ট্রপতি কৃষি, পরিকাঠামো, শিক্ষা, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, MSME এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন