সামনেই হরিয়ানায় উপনির্বাচন। তার আগে, গত ১৪ অক্টোবর প্যারোলে ৪০ দিনের জন্য মুক্তি পেয়েছেন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং।
মুক্তির পর অনলাইনে ‘সৎসঙ্গ’ শুরু করেছেন রাম রহিম। আর সেই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ধর্ষণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত রাম-রহিম বাবার কাছ থেকে আশীর্বাদ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
জানা যাচ্ছে, বুধবার, অনুগামীদের সাথে প্রায় দেড় ঘণ্টার অনলাইন কথোপকথন করেন ডেরা প্রধান রাম-রহিম। এ সময় তার কাছ থেকে আশীর্বাদ চাইতে দেখা গেছে হরিয়ানা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার রণবীর গাংওয়াকে। শুধু তাই নয়, হরিয়ানার করনালের বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় ভাটিয়া, করনাল পুরসভার মেয়র রেণুবালা গুপ্ত এবং ডেপুটি মেয়র নবীন কুমারও সাজাপ্রাপ্ত রাম-রহিম বাবা’র কাছ থেকে আশীর্বাদ চান। এর মধ্যে, রেণুবালা গুপ্ত আবার তাকে (রাম-রহিমকে) ‘পিতা জি’ বলে সম্বোধন করেন।
যদিও, হরিয়ানার বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, তার (রাম-রহিমের) মুক্তির সঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং আদমপুর উপনির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।
এর আগে, ২০২১ সালে ৩ বার এবং ২০২২ সালে দুবার (ফেব্রুয়ারিতে ২১ দিনের এবং জুন মাসে ৩০ দিনের) প্যারোল মুক্তি পেয়েছেন ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং। এমনকি, পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে (৭ ফেব্রুয়ারি), তাঁকে জেড-প্লাস (Z+) নিরাপত্তাও দেওয়া হয়।
এ সময়, রাম রহিমকে বারবার মুক্তি দেওয়া নিয়ে হরিয়ানা সরকারের নিন্দা করেন শিরোমনি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির (SJPC) সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামী। তিনি বলেন, ‘একদিকে, সরকার শিখ বন্দীদের জেলের মেয়াদ শেষ করার পরেও তাদের মুক্তি দিচ্ছে না। অন্যদিকে, গুরমিত রাম রহিম, যে ধর্ষণ এবং হত্যার মতো জঘন্য মামলায় কারাভোগ করছে, সে বারবার জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছে।’
২০১৭ সালের আগস্টে, ডেরার দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হরিয়ানার পঞ্চকুলা আদালত। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনার জন্য খুন হতে হয় এক সাংবাদিককে। সেই খুনের ঘটনায় আরও তিনজনের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাম রহিম। এছাড়াও ২০০২ সালে ডেরার ম্যানেজার রঞ্জিত সিংকে খুনের ঘটনায় দোষীদের তালিকাতেও নাম রয়েছে রাম-রহিম বাবার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন