কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণ মিটে গেছে গতকাল। যদিও সম্প্রসারণ মিটে যাবার পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জোটসঙ্গীর ক্ষোভ সামনে আসছে। এই তালিকায় উঠে আসছে বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউ-এর নাম। এবারের সম্প্রসারণে জেডিইউ-র মাত্র একজনই মন্ত্রীসভায় স্থান পেয়েছেন। ঘটনায় দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ নীতিশ কুমার দলের একমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কোনো অভিনন্দন বার্তাও এখনও পর্যন্ত দেননি।
গতকাল মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণে জেডিইউ থেকে মন্ত্রী হয়েছেন রাম চন্দ্র প্রসাদ সিং। যদিও মন্ত্রিত্ব লাভের পর দলের প্রধান নীতিশ কুমারের পক্ষ থেকে ট্যুইটার, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা হোয়াটস অ্যাপ-এ তাঁকে কোনো অভিনন্দন জানানো হয়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেডিইউ-এর দাবি ছিলো কমপক্ষে দুটি দপ্তর। দুই নামও এই জন্য ঠিক করা ছিলো। আর সি পি সিং ছাড়াও অন্য নাম ছিলো নীতিশ ঘনিষ্ঠ লালন সিং-এর।
এক বিশিষ্ট জেডিইউ নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে আর সি পি সিং জেডিইউ-র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে লালন সিং মুঙ্গেরের সাংসদ। দুজনেই নীতিশ ঘনিষ্ঠ। বিশেষত লোক জনশক্তি পার্টি ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন লালন সিং। নীতিশ কুমারও এই দুজনের কাউকেই চটাতে চাননা। তাই নীতিশ ব্যক্তিগত ভাবে হয়তো আর সি পি সিংকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি তা কখনই প্রকাশ্যে আনতে চাননা।
অন্যদিকে মন্ত্রী হবার পর আর সি পি সিং জানিয়েছেন লালন সিং এবং আমার মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই। উনি আমাদের দলের বিশিষ্ট নেতা।
জেডিইউ অন্য এক নেতা জানিয়েছেন, জেডিইউ-এর পক্ষ থেকে আর সি পি সিং-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো মন্ত্রীসভায় দুটি স্থানের ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু আর সি পি সিং মন্ত্রীসভায় জেডিইউ-এর জন্য দুই মন্ত্রীর ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি শুধু নিজের মন্ত্রীত্বের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, জেডিইউ যদি একটি মন্ত্রিত্বেই রাজী থাকতো তাহলে ২০১৯-এই মন্ত্রিত্ব নিতো। সেক্ষেত্রে দু বছর অপেক্ষার কোনো দরকার ছিলো না।
- with input from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন