মদ্যপ অবস্থায় অডি গাড়ি দিয়ে একের পর গাড়িতে ধাক্কা। ঘটনার পর পরিস্থিতি বুঝে এলাকা থেকে পালিয়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের ছেলে সংকেত বাওয়ানকুল। ঘটনায় দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক গাড়ি।
জানা গেছে, সোমবার মধ্যরাত ১ টা নাগাদ নাগপুরের রামদাসপেঠ এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দেন সংকেত। ওই অডি গাড়িতে সংকেত ছাড়াও গাড়ির আসল চালক এবং আরও চারজন ছিলেন। এই ঘটনার পর অডি গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান সংকেত-সহ তিনজন। চালক-সহ আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পানশালা থেকে ফেরার পথে প্রথম অভিযোগকারী জিতেন্দ্র সোনকাম্বলের গাড়ির সঙ্গে এবং তারপর একটি মোপেডকে ধাক্কা মারেন সংকেত। এতে দুই যুবক আহত হয়। এরপর ওই অডি গাড়ি ধাওয়া করেন তাঁরা। অডি গাড়িটি মানকাপুর এলাকার দিকে যাওয়ার সময় আরও কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। সেখানে টি-পয়েন্টে গাড়িটি একটি পোলো গাড়িকে ধাক্কা মারে। এরপর স্থানীয়রা অডিটিকে মানকাপুর ব্রিজের কাছে থামিয়ে দেয়। তখনই পরিস্থিতি বুঝে পালিয়ে যান সংকেত ও বাকি দু'জন। বাকি দু’জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।
সীতাবুলদি থানার এক পুলিশ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “মানকাপুরের দিকে আসার সময় অডি গাড়িটি আরও বেশ কয়েকটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। মানকাপুর সেতুর কাছে অডিটিকে ধরে ফেলেছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির চালক। সঙ্কেত-সহ ওই গাড়ির তিন জন পালিয়ে গিয়েছেন। গাড়ির চালক অর্জুন হাওড়ে এবং রনিত চিত্তামওয়াড় নামে অপর এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।“
ধৃত দু’জনকে প্রথমে তেহসিল থানায় এবং পরে পাঠানো হয় সীতাবুলদি থানায়। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত দু’জনকে ইতিমধ্যেই জামিন দেওয়া হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে বলেছেন, “আইন সকলের জন্য সমান। পুলিশের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত করা। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। আমি কোনও পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলিনি।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন