উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির সহিংসতার ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে ৫০০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।
হলদওয়ানিতে একটি অবৈধভাবে তৈরি হওয়া মাদ্রাসা ভাঙতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ঘটনায় শতাধিক পুলিশ কর্মী আহত হন। সাংবাদিকরাও আহত হন। সবমিলিয়ে ৩০০ জনের বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। প্রশাসনের দাবি, অনেকে বাড়ির ওপর থেকে পুলিশ লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়েছে। বাধ্য হয়েই পুলিশ কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে।
সহিংসতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ৫০০০ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড পুলিশ প্রধান অভিনব কুমার জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
হলদওয়ানির এডিজি আইনশৃঙ্খলা এ পি অংশুমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুলিশি টহল জারি রয়েছে। এলাকায় যাতে আর কোনোরকম অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য ১০০০ জন পুলিশকর্মী মোয়াতেন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন হলদওয়ানির বনভুলপুরায় সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে নির্মিত একটি মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙতে যায়। এর প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তারপরই দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।
প্রশাসন দ্বারা ভেঙে দেওয়া এই মাদ্রাসাটি রেলওয়ে কলোনি এলাকায় অবস্থিত যেখানে ৪ হাজারেরও বেশি পরিবার গত ৪০ বছর ধরে বাস করছে। রেলপথ সম্প্রসারণের জন্য এই এলাকার জমি প্রয়োজন কেন্দ্র সরকারের। রেলের তরফ থেকে বাসিন্দাদের একাধিকবার উচ্ছেদ নোটিস ধরালেও স্থানীয়রা জায়গা ছাড়ছেন না। রেলের এই নোটিসের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা আগেও প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা। তাঁদের হয়ে শীর্ষ আদালতে বিষয়টি দেখছেন সিনিয়র আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। বিষয়টি এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন