বুধবার, দিল্লিতে সকাল ১১টা থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে শুরু করে দিয়েছে ইডি। তার জন্য স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, গোরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামূল হকের বয়ানকে সামনে রেখেই অনুব্রতকে জেরা করা হচ্ছে। প্রতিটি জেরার ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
বুধবার, ভোররাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ১০ মার্চ পর্যন্ত- ইডি (ED) হেফাজতে পাঠিয়েছেন দিল্লির একটি আদালত। দীর্ঘ শুনানির পর, এই নির্দেশ দিয়েছেন রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বিচারক রাকেশ কুমার। তারপর, নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি।
এদিকে, এই ইস্যুতে 'স্পিকটি নট' মনোভাব দেখাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে না পেরে কার্যত 'নীরব মোডে' (silent mode) চলে গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
গত একমাস আগেই, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমের দলীয় জনসভায় তিনি বলেছিলেন, 'BJP ভাবছে, কেষ্টকে (অনুব্রত মণ্ডলের ডাক নাম) জেলে পুরে বীরভূমের দুটো আসন জিতে নেবে। সে গুড়ে বালি। কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে জেল থেকে বার করে আনতে হবে।'
তবে, এদিন অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য কোনও মন্তব্য করেননি মমতাও। একইসঙ্গে জানা যাচ্ছে, অনুব্রতর 'দিল্লি যাত্রা' ও ইডি হেফাজত নিয়েও বেশি শব্দ খরচ করেনি তৃণমূলের দলীয় মুখপত্র 'জাগো বাংলা।' বুধবার, সকালে প্রকাশিত মুখপত্রের তৃতীয় পাতায় কার্যত 'গুরুত্বহীন' ভাবে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু, সেই খবরের শিরোনামে অনুব্রতের নামও ব্যবহার করা হয়নি।
তবে, এই ইস্যুতে একমাত্র হালকা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, 'এটি যেহেতু আদালতের বিষয়, এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করবো না। তবে,আমি শুধু বলতে পারি- বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। এবং আমি এও বিশ্বাস করি, আমাদের দেশে এজেন্সির রাজ শেষ কথা বলে না, মানুষই শেষ কথা বলবে।'
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে, দিল্লিতে শুনানি চলাকালীনও কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত মণ্ডল। এমনকি, বিচারকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়েও অনুব্রত মণ্ডলকে একাধিক প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। কিন্তু সেই প্রশ্নেরও উত্তর দেননি তিনি। একেবারে 'স্পিকটি নট' ছিলেন ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন