প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি! দেশের সবচেয়ে বড় ঋণ জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হলেন DHFL গ্রুপের প্রাক্তন প্রোমোটার কপিল ওয়াধাওয়ান। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫০০০ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ আনল সিবিআই। তিনি প্রায় ১৭ টি ব্যাংক থেকে প্রতারণা করেছেন।
ঋণ খেলাপের অভিযোগে কপিল ওয়াধাওয়ান ছাড়া আরও ১০ জনকে অভিযুক্ত করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, প্রথমে ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বা ইউবিআই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে কপিলের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই একাধিক সংস্থার নাম উঠে আসে। সারা দেশ জুড়ে এই ঋণ জালিয়াতিতে অনেকেই যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইউবিআই ব্যাঙ্কের দাবি, DHFL সংস্থাকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪২,০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪,৬১৫ কোটি টাকা এখনও শোধ করেনি কোম্পানি। ২০১৯ সালে এই বকেয়া ঋণ অনুৎপদিত সম্পদ হিসেবে ঘোষিত হয়। ২০২০ সালে ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষিত হয়।
এই ঋণ জালিয়াতির ব্যাপারটি ২০২০-২১ সালের কেপিএমজির অডিটে আরও স্পষ্ট হয়। জানা গেছে, DHFL তার সাথে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষুদ্র কোম্পানিকে এই ঋণ দেয় শেয়ার এবং ডিবেঞ্চার কেনার জন্য। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঐ সংস্থাকে যে কাজের জন্য ঋণ দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী তা পালন করা হয়নি। কোন খাতে কী খরচ করা হয়েছে তার কোনো স্বচ্ছ নথিও দেখাতে পারেনি DHFL।
সিবিআই সূত্রে খবর, কপিল ওয়াধাওয়ান ৬৫ টি সংস্থার মধ্যে ৪০ টি সংস্থার ডিরেক্টর, অডিটর নিয়োগের দায়িত্বে ছিলেন। এর পাশাপাশি ইনকাম ট্যাক্সের নোটিশ, বিভিন্ন সেক্রেটারিয়াল রেকর্ড নিজেই পরিচালনা করতেন। ডিএইচএফএল-র পাশাপাশি সুহানা গ্রুপের সুধাকর রেড্ডি সহ ১০ টি সংস্থাকে ঋণ জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ধরণের ঋণ খেলাপ ভারতে প্রথম নয়। এর আগে ঋণ জালিয়াতিতে অভিযুক্ত হয়েছিলেন নীরব মোদী। যাঁর ঋণ খেলাপের পরিমাণ ছিল ১৩০০০ কোটি টাকা। পাশাপশি এবিজি শীপইয়ার্ডের বিরুদ্ধেও ২০০০০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপের অভিযোগ রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন