পুলওয়ামাকাণ্ড নিয়ে মুখ খোলার পর থেকেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার দেশের ৩০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সবক'টি জায়গার সাথে যোগসূত্র আছে সত্যপাল মালিকের।
কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দুর্নীতি মামলায় ফের তৎপর হলো সিবিআই। বৃহস্পতিবার সত্যপাল মালিকের বাসবভন সহ দেশের ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। যা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হয়েছেন সত্যপাল মালিক। তিনি লেখেন, 'আমি গত ৩-৪ দিন ধরে অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি আছি। তা সত্ত্বেও স্বৈরাচারী শাসক সরকারি সংস্থার মাধ্যমে আমার বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। আমার চালক ও সহকারীকেও অকারণে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি কৃষকের ছেলে, এসব অভিযানে ভয় পাব না"।
এর আগে গত বছর মে মাসে কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগে সত্যপাল মালিকের ঘনিষ্ঠ সহকারীদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় দিল্লির ১০ টি জায়গায় এবং রাজস্থানের ২ জায়গা অভিযান চলেছিল।
পুলওয়ামা কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবির পরই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্স নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে সেই মামলায় সাক্ষী হিসাবে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের গভর্নর ছিলেন সত্যপাল মালিক। এই সময়কালে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাশ করার জন্য, তাঁর কাছে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব এসেছিল বলে নিজেই অভিযোগ করেছিলেন সত্যপাল মালিক। এর মধ্যে একটি ছিল কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং অন্যটি রিলায়্যান্স কোম্পানির ইনশিওরেন্স সংক্রান্ত।
উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিল মাসে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন সেই সময় জম্মু কাশ্মীরের গভর্নর থাকা সত্যপাল মালিক। সিআরপিএফ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের "অযোগ্যতা" এবং "অবহেলার" ফলেই সেনা কনভয়ে হামলা হয়েছিল তিনি দাবি করেছিলেন। এমনকি সরকারের ত্রুটিগুলি নিয়ে প্রকাশ্যে তাঁকে মুখ খুলতে নিষেধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং এনএসএ অজিত ডোভাল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন