১০ দিন পরেও এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ চললেও ঠিক কবে উদ্ধারকার্য সম্পন্ন হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে ২ দিনও লাগতে পারে আবার ১৫ দিনও লাগতে পারে।
সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্য নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞদেরও আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ড্রিলিং মেশিন দিয়ে পাথর সরিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সচিব অনুরাগ জৈন বলেন, সবকিছু ঠিক ঠাক চললে দু'দিনের মধ্যে শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কোনো বাধা পড়লে ১৫ দিনও লেগে যেতে পারে উদ্ধারে।
তিনি আরও বলেন, যথেষ্ট সাবধানতার সাথে কাজ চলছে। মঙ্গলবার রাতে ২২ মিটার পর্যন্ত পাথর কাটা সম্ভব হয়েছে। বুধবার সকালে ১৭ মিটার পাথার কাটা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৯ মিটার পাথর কাটা হয়েছে। আর ২০ মিটার মতো পাথর কাটতে পারলে শ্রমিকদের উদ্ধার সম্ভব হবে।
উত্তরাখণ্ডের সড়ক ও পরিবহণ বিভাগের আধিকারিক জানান, পাথরে গর্ত করার সাথে সাথে ওই গর্তে ঢালাই করা পাইপ ঢোকানো হচ্ছে। যাতে সহজেই শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায়। পাইপ ঢোকাতেই বেশী সময় লাগছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ১৮ মিটার পাইপ ঢোকাতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের শরীরের কথা মাথায় রেখে গরম খাবারও পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে মটর পনীর, পোলাও এবং দু'টি করে রুটি পাঠানো হয়। তবে রান্নার মধ্যে বিশেষ কিছু মশলা দেওয়া হচ্ছে না। পাইপ লাইনের মাধ্যমে পাত্রে খাবার পাঠানো হচ্ছে। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা প্রতিনিয়ত খোঁজ নিচ্ছেন পরিস্থিতির।
ওই ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে বাংলার ৩ জন শ্রমিকও রয়েছেন। রবিবার ভোর থেকে আটকে রয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সকলের পরিবার দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রশাসনের উ তবে প্রশাসনের কর্তাদের থেকে আশ্বাস পেয়ে তাঁরাও আশার আলো দেখছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন