রাষ্ট্রপতির সইয়ে পর কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে আর কোনও সমস্যা রইল না। কিন্তু কেন্দ্রের দেওয়া চাপের কারণেই এখনও তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে। কেন্দ্র তাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে বকেয়া দাবি পূরণের চেষ্টা করছে না বলে অভিযোগ তাদের।
সংগঠনের বক্তব্য, সরকার শহীদ কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ফসল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ করলে তাঁরা অপেক্ষা করতে রাজি। মোর্চা জানিয়েছে, কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেনি। ফলে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রথমবার যুদ্ধে জিতেছে কৃষকরা, দাবি তাঁদের।
কৃষকদের আরও অভিযোগ, আলাদা আলাদা ভাবে কৃষক নেতাদের ফোন করে আন্দোলনে ফাটল ধরাতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের উদ্দেশ্য কৃষকদের মধ্যে বিভাজন করা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারি ভাবে কথা বলতে চেয়ে তাদের কাছে কোনও আমন্ত্রণ আসেনি। কিন্তু পিছন দিক দিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে সরকার।
সারা ভারত কিষান সভার হান্নান মোল্লা, পি কৃষ্ণপ্রসাদ জানান, 'সংযুক্ত কিষান মোর্চার কোর কমিটির কিছু কিছু সদস্যের কাছে ফোন আসছে। অথচ সরকারি আমন্ত্রণের প্রক্রিয়া আমাদেরও অজানা নয়। এর আগে ১১ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। প্রতিবারই রীতি মেনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।'
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিন কৃষি আইন তৈরি হয়। আর তারপর থেকেই কৃষকদের একটি অংশ বিক্ষোভ শুরু করেছিল। বিরোধিতা করে দীর্ঘ এক বছর ধরে সিংঘু সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা। কয়েকদিন আগে অপ্রত্যাশিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী এই আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে ।
সোমবার, সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করলে ধ্বনি ভোটে তা পাশ হয়ে যায়। রাজ্যসভায় খুব সহজেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন